প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৯:০৬
রাতের আঁধারে কিশোরীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ
রাতের আঁধারে কিশোরীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তিন যুবকের বিরুদ্ধে। তরুণীর মা মমতাজ বেগম বাদী হয়ে তিন যুবককে আসামী করে আদালতে মামলা করেছেন।
|আরো খবর
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ১২ আগস্ট ফরিদগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম রূপসা গ্রামের ইজিবাইক চালক রিপন হোসেনের ১৭ বছরের কিশোরী কন্যা রাত ৮টার দিকে ঘরের বাইরে টয়লেটে যাওয়ার জন্যে ঘর থেকে বের হয়। পথে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সাহেদ হোসেন (৩২), (পিতা মোঃ হানিফ প-িত); মোঃ মহসিন প-িত (৩১), (পিতা মুকসুদ আলম প-িত); মোঃ ইউনুস হোসেন (৩৫), (পিতা আব্দুল আলী) কিশোরীকে ঝাপটে ধরে। ওড়না দিয়ে মুখ বেঁধে ফেলে, যেনো ডাক-চিৎকার দিতে না পারে এবং জোর পূর্বক ভিকটিমকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে ভিকটিমের মুখ থেকে কাপড় খুলে গেলে সে ডাক চিৎকার দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিমকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে সাহেদ তার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে ভিকটিমের মাথার পেছনে আঘাত করে। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় এবং মাথার পেছনে ৫টি সেলাই দিতে হয়েছে। মহসিন এ সময় ভিকটিমের তলপেটে পর পর কয়েকটি লাথি মারে। ইউনুস ভিকটিমের বাম রানে পাড়া দিয়ে ধরে রাখে। এঅবস্থায় ভিকটিম সম্পূর্ণ নিস্তেজ হয়ে যায়। ভিকটিমের মৃত্যু হয়েছে মনে করে তাকে ফরিদগঞ্জ-রায়পুর মহাসড়কের পাশে রেখে পালিয়ে যায়। লোকমুখে খবর পেয়ে কিশোরীর মা-বাবা ছুটে এসে তাকে ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক ভিকটিমকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়। চাঁদপুর হাসপাতালে ভর্তি করার পর চিকিৎসক অবস্থা খারাপ দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্যে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে ১৩ আগস্ট থেকে ১৬ আগস্ট এবং পরে ২০ আগস্ট থেকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত চিকিৎসা নেয়। সে বর্তমানে মানসিক বিকারগ্রস্ত এবং ভয় ও আতঙ্কে বাকরুদ্ধ।
সাহেদ হোসেন (৩২), মোঃ মহসিন প-িত (৩১) ও মোঃ ইউনুস হোসেন (৩৫)কে আসামী করে কিশোরীর মা মমতাজ বেগম আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন।
এদিকে আসামীরা ২নং সাক্ষী কিশোরীর বাবা রিপনকে প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে এই বলে যে, যদি কোনো মামলা মোকাদ্দমা করে তাহলে তারা ভিকটিমকে বা তার মা-বাবাকে মেরে লাশ গুম করে দিবে এবং ঘর-বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিবে।
ভুক্তভোগীরা জানান, চিকিৎসা নিয়ে আসতে সময় লেগেছে। তাই মামলা করতে দেরি হয়েছে।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সাংবাদিকদের বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মামলাটি ফরিদগঞ্জ থানায় রেকর্ড হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কাউকে পাওয়া যায়নি বলে তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।