প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২৩, ০৩:১৭
হাইমচরে দুর্বৃত্তদের হামলায় সাবেক চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন সর্দার সহ গুরুতর আহত ৪
হাইমচরে দুর্বৃত্তের হামলায় সাবেক চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন সরদার সহ ৪জন গুরুতর আহত হয়েছে। ২৫ আগস্ট শুক্রবার নীলকমল ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী শরীয়তপুর ও ঈশান বালার বর্ডার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসী হামলায় সালাউদ্দিন সরদারের ব্যবহৃত প্রাইভেট কার গাড়িটিও ভেঙ্গে দুমড়ে মুচরে দেয় দুর্বৃত্তরা। আহতদের স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে ঢাকায় রেফার করেন। তবে এ সন্ত্রাসী হামলা সাউদ আল নাসের করেছেন বলে অভিযোগ করেন আহত সাবেক চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন সরদার।
|আরো খবর
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, নীলকমল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন সরদার বিয়ের দাওয়াত খেয়ে বাড়ি ফেরার পথে মুখোশ পরা একদল সন্ত্রাসী তাদের উপর হামলা করেন। দুর্বৃত্তদের হামলায় সালাউদ্দিন সরদার গুরুতর আহত হন। তার সাথে থাকা সাবেক ইউপি সদস্য মিজান সরদার, আলামিন ও মনির মাতবর গুরুতর আহত হন। আহতদের মোল্লা বাজার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সালাউদ্দিন সরদার এর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। গুরুতর আহত সালাউদ্দিন সরদার জানান, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সাউদ আল নাসের একজনকে হত্যা করেন। সেই মামলার এক নম্বর সাক্ষী আমি। তারপর থেকে একাধিক বার এই চেয়ারম্যান সাউদ আমার উপর হামলা করেন। এ বিষয়ে আমি হাইমচর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করি। আমার উপর যেকোনো সময় তারা হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করতে পারে বলেই থানায় একটি ডাইরি করি। কিন্তু হাইমচর থানা পুলিশ কোন ব্যবস্থাই নেয়নি। আজ মোল্লার বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে ওত পেতে থাকা বর্তমান চেয়ারম্যান সাউদ আল নাসের, তার ভাই ফাহাদ আল নাসের, রিয়াদ, তার ভাগিনা, বোনের জামাই খলিল মাতাব্বরের ছেলে, আনসার, দেলোয়ার, সবুজ আরশিনগর থেকে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসি বাহিনী এনে আমাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। তারা আমার উপর অতর্কিতভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। আমি সহ আমার সফর সঙ্গী সকলকে এ্যালো পাতালি কুপিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করে।
আহত সাবেক ইউপি মেম্বার মিজান সরদার জানান, আমরা বাড়ি ফেরার পথে, চেয়ারম্যান সাউদ আল নাসের, ফাহাদ আল নাসের, তাদের বোন জামাই, ভাগিনা, দেলোয়ার আনসার, সবুজ সহ আরশিনগর থেকে ভাড়া করা একদল সন্ত্রাসী ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে আমাদের উপর হামলা করেন। তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদেরকে এ্যালোপাতালি কুপিয়ে আহত করে আমাদের সাথে থাকা ২০ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তিনি আরো বলেন , বর্তমান চেয়ারম্যান একজন নারী লোভী মানুষ, সে এক নারীকে নিয়ে হোটেলে ফুর্তি করে, সেই ভিডিও ফেসবুক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। তার অন্যায় অপকর্মের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ করায় আমাদের উপর আজকের এই হামলা হয়। আমরা পুলিশ প্রশাসনের কাছে এই নেক্কারজনক ঘটনায় জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান সাউদ জানান, আমি আজকে সকাল থেকে আমাদের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডাক্তার দীপু মনির বাসায় অবস্থান করছি। সাবেক চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন সরদার এর উপর সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে আমি লোক মার প্রতি জানতে পেরেছি। কে বা কারায় ঘটনাটি ঘটেছে তা আমার জানা নেই। সালাউদ্দিন সরদার লাইভে এসে আমাকে এবং আমার ভাইদেরকে জড়িয়ে তিনি বলেছেন আমরাই নাকি উপস্থিত থেকে ঘটনাটি ঘটিয়েছি। আমি সকাল থেকে এখন পর্যন্ত চাঁদপুরেই আছি, আমার ছোটভাই রিয়াদ আল নাসের ডেঙ্গু পজেটিভ নিয়ে চাঁদপুরে একটি হসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সালাউদ্দিন সরদারের নোংরা রাজনীতির শিকার আমরা ইতিপূর্বে অনেকবার হয়েছি। এবারও তার উপর হামলার ঘটনাটির দায় আমারও আমার পরিবারের উপর চাপাতে চাইছে।