প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২১, ১৯:৫৪
বালিথুবায় গাছকাটার মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ
![বালিথুবায় গাছকাটার মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ](/assets/news_photos/2021/10/08/image-6989-1633701696bdjournal.jpg)
ফরিদগঞ্জ উপজেলার ২নং বালিথুবা ইউনিয়নের দেইচর গ্রামের খামার বাড়ীতে গাছ কাটার মিথ্যা মামলা দিয়ে কয়েকটি পরিবারকে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের আলোকে উল্লেখিত স্থানে গিয়ে জানা যায় মিথ্যা মামলা দেওয়া এনায়েত উল্লাহ একজন সাবেক মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি হাইমচর মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা থাকা অবস্থায় চাকুরি থেকে অবসরগ্রহণ করেন।
|আরো খবর
অভিযোগকারী মোঃ মামুন হোসেন, মুকসুদ উল্লাহ মিজি, মোঃ মোতালেব হোসেন গংরা বলেন এনায়েত উল্যাহ এলাকার একজন চিহ্নিত মামলাবাজ। তিনি ইতিপূর্বে এলাকার অনেকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন। তারা বলেন তাদের নিজেদের বাড়ির এজমালি শতবর্ষী রাস্তা নিজেরা ব্যবহার করে আসছিলেন। কিন্তু হঠাৎ এনায়েত উল্লাহ গত ২০ তারিখ সরকারিভাবে বৃক্ষ রোপনের নাম করে দেইচর জননী মহিলা কল্যাণ সমিতির নামে নিজেদের বাড়ির রাস্তায় কয়েকটি গাছ রোপন করেন। এবং রাস্তার কিছু অংশ তিনি কেটে ফেলে দেন। এছাড়া ঐদিনকার তারিখ ব্যবহার করে দেইচর জননী মহিলা কল্যাণ সমিতির নামে ২৫০ টি গাছ এলাকার গরিব ও অসহায়দের মাঝে বিতরণ করেছেন বলে চাঁদপুরের স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় নিউজ করেন। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। সরেজমিনে এলাকায় গিয়েও খবর নিয়ে জানা যায় তিনি এলাকায় এ ধরনের কোনো কর্মসূচি পালন করেননি।
অভিযোগকারী মামুন গংরা বলেন আমাদেরকে ফাসানোর জন্য পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে এই কর্মসুচির নাম করে আমাদের নামে এই গাছ কাটার অভিযোগ দিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। যা বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। এই মামলায় এনায়েত উল্যাহ আমাদের বাড়ীর বেশ কয়েকটি পরিবারকে হয়রানি করছে। ইতি পূর্বে তিনি আরো বেশ কয়েকটি মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদেরকে হয়রানি করে আসছেন। তার অত্যাচারে আমরা বাড়ীর সকলেই অতিষ্ঠ।
দেইচর জননী মহিলা কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি রোকেয়া বলেন তিনি সভাপতি থাকা অবস্থায় এনায়েত উল্লাহ মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ছিলেন। আমাকে এনায়েত উললা উক্ত সমিতির সভাপতি নামেমাত্র রেখেছিলেন। কিন্তু সমিতির নামে সরকারি যতসব অর্থ এবং বিভিন্ন অনুদান আসতো তা সব এনায়েত উল্লাহ ভোগ করতেন।
এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান এনায়েত উল্লাহ একজন দুরন্তর লোক। তিনি ওই মহিলা সমিতির নামে সরকারি বিভিন্ন দান-অনুদান এনে নিজেই ভোগ করেন। কখনো এলাকার মানুষকে দিতে দেখিনি। এছাড়া তিনি পত্রিকায় যে বৃক্ষ রোপনের নিউজ করেছেন তা মিথ্যা। আমরা এলাকায় দেখিনি তিনি গাছ বিতরণ করেছেন। তারা আরো বলেন এনায়েতুল্লাহ ইতিপূর্বে কালির বাড়ী হইতে জামতলা অভিমুখী এলজিইডির রাস্তার পাশের অনেক সরকারি গাছ তার নিজের দাবী করে কেটে নিয়েছেন। কাগজেপত্রে সমিতির সহ-সভাপতি শামসুন্নাহারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি দেইচর জননী মহিলা কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি আমি নিজেই জানি না।
অন্যদিকে অভিযোগগুলোর বিষয়ে এনায়েত উল্লাহ সাথে কথা হলে তিনি বলেন সমিতির সহ-সভাপতি শামসুন্নাহার, তিনি ২০ তারিখে ২৫০ নয় ৬০০ গাছ বিতরণ করেছেন, কিন্তু কোথায় করেছেন তা তিনি বলেন না। এছাড়া বাড়ির রাস্তাটি তার নিজের রাস্তা বলে দাবি করেন। এবং এলজিইডি রাস্তার পাশের গাছগুলো তার নিজের রোপনকৃত গাছ বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন বাড়ির কারও বিরুদ্ধে তিনি কোনো মামলা করেন না, যদি মামলা করে থাকি তাহলে প্রমাণ দিতে বলেন।
ভুক্তভোগীরা এনায়েত উল্লাহর মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা গ্রহন করার জোর দাবি জানান।