প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:২০
সিলেটের চন্ডিপুল গোলচত্বরকে 'এম.এ. খান চত্বর' নামকরণের দাবিতে স্মারকলিপি

সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ঐতিহাসিক চন্ডিপুল গোলচত্বরকে 'রিয়ার এডমিরাল এম.এ. খান চত্বর' নামকরণের দাবিতে এম. এ. খান চত্বর বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে বুধবার (২২ অক্টোবর ২০২৫) দুপুরে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন এম. এ. খান চত্বর বাস্তবায়ন কমিটির নেতৃবৃন্দ।
|আরো খবর
সিলেটের গর্ব রিয়ার এডমিরাল মাহবুব আলী খানের অবদানকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুল গোলচত্বরটিকে 'রিয়ার এডমিরাল এম.এ. খান চত্বর' নামফলক স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এম. এ. খান চত্বর বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মো. আব্দুল ওয়াহিদ, সদস্য সচিব আবু জাহিদ খান, যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান কাচা মিয়া, ফয়ছল মাহমুদ, সদস্য জাবেদ আমিন সেলিম, ইউসুফ কবির, রুবেল আহমদ, সোহাগ আহমদ, জুলফিকার আলী প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে এম. এ. খান চত্বর বাস্তবায়ন কমিটির নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, আমরা দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সচেতন নাগরিকবৃন্দ, সিলেটের গৌরব, বাংলাদেশের কৃতী সন্তান, মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, রাজনীতিবিদ, সাবেক যোগাযোগ ও কৃষি মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান রিয়ার এডমিরাল মাহবুব আলী খান ছিলেন এক অসাধারণ দেশপ্রেমিক, যোগ্য প্রশাসক ও দূরদর্শী উন্নয়ন ব্যক্তিত্ব। এম. এ. খান তাঁর কর্মজীবনের প্রতিটি পর্যায়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে নিবেদিত ছিলেন। যোগাযোগ খাতে তাঁর নেতৃত্বে দেশের সড়ক ও রেলপথে যে যুগান্তকারী উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, তা আজও ইতিহাসে স্মরণীয়। সিলেটের মানুষ বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ, কারণ তাঁর উদ্যোগেই ঢাকা-সিলেট ও সিলেট-চট্টগ্রাম আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু হয় এবং রেলওয়ে অবকাঠামো ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক নতুন দিগন্তের সূচনা ঘটে। শুধু মন্ত্রী হিসেবেই নয়, দেশপ্রেমিক কর্মকর্তা হিসেবে তিনি ছিলেন সিলেটবাসীর অহংকার। তিনি তাঁর জন্মভূমি দক্ষিণ সুরমাসহ গোটা দেশের উন্নয়নে যে অসামান্য অবদান রেখেছেন, তা আমাদের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে থাকবে।








