প্রকাশ : ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:১৭
কিশোরকে আটকে রেখে পুলিশ-সেনাবাহিনী পরিচয়ে চাঁদা দাবি, গ্রেপ্তার-৫

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় এক কিশোরকে আটকে রেখে পুলিশ-সেনাবাহিনী পরিচয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে ৫জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
|আরো খবর
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল ২০২৫) দুপুরের দিকে আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে সোমবার উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন : নরোত্তমপুর ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের মহি উদ্দিনের ছেলে ছাত্র প্রতিনিধি আবদুল্লা আল মামুন (২৫), একই ওয়ার্ডের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মো. মনিরুল ইসলাম ওরফে আকাশ (২১), একই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ডাক্তার বাড়ির মৃত তাহেরের ছেলে মো. পারভেজ হোসেন (৩০), নরোত্তমপুর ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের ফয়েজ উল্যাহ মেম্বার বাড়ির মৃত আবুল খায়েরের ছেলে অহিদুল ইসলাম (২৪) ও বাটইয়া ইউনিয়নের রশিদ দর্জি বাড়ির মো. সালাউদ্দিনের ছেলে মো. ইউনুস হোসেন রাজু (২২)।
মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, সোমবার (১৪ এপ্রিল ২০২৫) বাটইয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. তাফসীরুল ইসলাম ওরফে রাফসান (১৯)কে দুপুর আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত আটক করে রাখে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা। আসামিরা ভিকটিমকে মাদকসহ আটক করে বলে দাবি করে। এরপর আটক কিশোরের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর থেকে কল করে প্রথমে ডিবি ও পরে সেনাবাহিনী পরিচয় দিয়ে তার বাবার কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে তার ছেলেকে মারধরের হুমকি দেয়।
মামলার এজাহারে আরো বলা হয়েছে, দাবিকৃত টাকা বাটইয়া ইউনিয়নের কৃঞ্চারটেক মসজিদের সামনে রাখার জন্যে বলে। ভুক্তভোগী কিশোরের বাবা তাদের জন্যে ৭০হাজার টাকা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। কিন্তু প্রশাসনের লোক আছে বলে স্থান পরিবর্তন করতে থাকে চাঁদাবাজরা। পরবর্তীতে ভিকটিমকে মাইজদী নিয়ে ডিবি পুলিশকে বুঝিয়ে দিয়েছি বলে জানায়। তাদের কথাবার্তায় রাফসানের বাবার সন্দেহ হয়। পরে তিনি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করেন। একই সাথে তিনি সেনাবাহিনী ও পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোবাইলের কল রেকর্ড শুনে অভিযান চালিয়ে ৫জনকে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা ঘটনার সততা স্বীকার করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরের বাবা মো.সফি উল্যাহ (৬০) বাদী হয়ে কবিরহাট থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। এতে অজ্ঞাত আসামি করা হয় আরো ৩/৪জনকে।
কবিরহাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মন্জুর আহমদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় চাঁদাবাজি আইনে মামলা নেওয়া হয়েছে। ওই মামলায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পলতাক রাকিব নামে অপর আসামিকেও গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।