বুধবার, ০৯ অক্টোবর, ২০২৪  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে দলিল লেখকের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ
  •   জন্মান্ধ হয়েও বারো বছর বয়সে হলেন হাফেজ
  •   বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য
  •   নামাজ পড়তে সুযোগ দেয়ায় প্রশংসায় ভাসছেন সুরমা সুপার বাসের সুপারভাইজার জাহিদ
  •   চাঁবিপ্রবি’র ভিসি নাছিম আখতারকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন

প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:২৯

মতলব উত্তরে গোখরা সাপের কামড়ে কৃষকের মৃত্যু

মাহবুব আলম লাভলু
মতলব উত্তরে গোখরা সাপের কামড়ে কৃষকের মৃত্যু

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়নের রাঢ়ীকান্দি গ্রামে বিষধর খৈয়া গোখরা সাপের কামড়ে মো. লিটন খান (৪৬) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।রবিবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটেছে।তিনি ১ ছেলে ও ২ কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ।

স্হানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ রাঢ়ীকান্দি গ্রামে মো. লিটন খান বাড়ির পার্শের খালের রিং চাই থেকে মাছ সংগ্রহ করতে গেলে তাকে খৈয়া গোখরা সাপ তাকে কামড় দেয়। তাৎক্ষণিক সাপটিকে রিং চাই এর মধ্যে আটকে ফেলে বাড়িতে নিয়ে আসেন মো. লিটন মিয়া। সাপের কামড়ের তীব্র ব্যথা অনুভব করলে বাড়ির লোকজব তাকে রাত ৮:৩০ মিনিটের সময় মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। সেখানে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

একই বাড়ির মো. সৈয়দ খান জানান, লিটন খান খুবই সহজ সরল প্রকৃতির লোক ছিলেন। পেশায় তিনি কৃষিকাজ করতেন এবং শখের বসে খালে বিলে মাছ শিকার করতেন। রবিবার সন্ধ্যায় তিনি পাশের বিলে রিং চাই থেকে মাছ সংগ্রহ করতে গেলে সেখানে খৈয়া গোখরা সাপ তাকে কামড় দেয়। তারপর সে সাপটিকে জীবিত অবস্থায় ওই জালের মধ্যে বন্দী করে বাড়িতে নিয়ে আসে। সাপের কামড়ের তীব্র ব্যথা অনুভব করলে তাকে হাসপাতালে নিলে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করে।

এ বিষয়ে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. হাসিবুল ইসলাম জানান, আমি শুনেছি খৈয়া গোখরা সাপের কামড়ে লিটন খান নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সাপ কামড়ের পর শরীর অবশ হয়ে আসে ও মুখ দিয়ে লালা ঝড়ে।

তিনি আরও বলেন, সাপে কামড়ানোর পর তাকে দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়া উচিত ছিল। এসব বিষয়ে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। আরেকটু সচেতন হয়ে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনি প্রাণে বেঁচে যেতে পারতেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়