প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০২১, ০২:৩৩
কুড়িগ্রামে বিপদ সীমার উপরে ধরলা ব্রহ্মপুত্রের পানি : ২৫ হাজার মানুষ পানি বন্দী
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায় কুড়িগ্রামে নদ- নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ধরলার পানি বিপৎ সীমার ১৪ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদ সীমার ৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে।
|আরো খবর
ফলে দেড় শতাধিক চর ও দ্বীপচরের নদী সংলগ্ন গ্রামএলাকা প্লাবিত রয়েছে। পানি বন্দী রয়েছে অন্তত ২৫ হাজার মানুষ। বিচ্ছিন হয়ে গেছে চরের যোগাযোগ ব্যবস্থা। ৯টি উপজেলায় প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমির আমন ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে।
সদর উপজেলার হলোখানা, যাত্রাপুর, পাঁচগাছি, ভোগডাঙা ও ঘোগাদহ ইউনিয়নের ২০টি গ্রামের বন্যার পানি ঢুকেছে। এসবএলাকার ৮০ ভাগ আমন ক্ষেত এখন পানির নিচে। ডুবে গেছে গ্রামীণ সড়ক। সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের রাঙামাটি এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে রাঙামাটি, কাগজীপাড়া, হলোখানা, বড়লই, সারডোবসহ ১০টি গ্রামের কয়েকশ হেক্টর জমির আমন ক্ষেত তলিয়ে গেছে।
এদিকে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নদ-নদীর ভাঙনও তীব্র রুপ নিয়েছে। ধরলা, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার ও গঙ্গাধরের ভাঙনে বিভিন্ন এলাকায় গত ২৪ ঘন্টায় আরো দুই শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। রাজারহাট উপজেলার কিংছিনাই গ্রামের ধরলার ভাঙনে গত এক সপ্তাহে ৩০টি পরিবার গৃহহীন হয়েছে। ধরলা অববাহিকার মেকলি, কিংছিনাই, জয়কুমর, সারডোব, জগমোহনের চর, তিস্তার গতিয়াশাম, খিতাবখা, রামহরি, হাবুরহেলান, ঠুটাপাইকর, হোকডাঙা, চর বজরাসহ ৩০টি পয়েন্টে নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডেও নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন আজও উজানে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আগামী মাসের দুই তারিখ পর্যন্ত পানি বাড়তে পারে। ফলে স্বল্প মেয়াদী একটি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান,বন্যাকবলিত মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রয়েছে। ইতোমধ্যেই জেলার ৯ উপজেলায় নগদ ১২ লাখ টাকা ও ২৮০ মে.টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এসব খুব শিগগির বন্যা কবলিত স্থানসমুহে ইউএনও ও জন প্রতিনিধিগণ বিতরণ করবেন।