প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২১, ১৯:২৫
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি
হামলা আহত ৪, গ্রেফতার ৩
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ষোলনল গ্রামে বাড়ির চলাচলের রাস্তা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী হামলায় চালিয়ে আয়েশা বেগম ও তার স্বামী আবদুল বারেক ও তার দুই পুত্র সন্তানসহ মারাত্মক ভাবে ৪ জনকে জখম করে । তাদের আত্মচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। ঘটানাটি ঘটেছে গত (৫ আগষ্ট) বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় । মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে বাদী এবং তার ঘরে নারীসহ অন্যদেরকে প্রাননাশের হুমকি ধুমকি দিয়ে আসছে। যার ফলে বাড়ির মহিলারা ও বাদী নিরাপত্তাহীনতায় ভোগ।
|আরো খবর
এ ঘটনায় শুক্রবার বুড়িচং থানায় ৭ জনকে নামীয় আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয় । মামলার এজহার সূত্রে জানাযায়, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ষোলনল গ্রামের মৃত সুজাত আলীর ছেলে মো: আবদুল বারেক (৬৫) এর পরিবারের সংঙ্গে একই এলাকার মো: খলিল (৪৫) গংয়ের রাস্তা চলাচল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ মো: খলিল গং আবদুল বারেকের লোকজনকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভারে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। প্রতিপক্ষের লোকজন সম্প্রতি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং আক্রমন করার চেষ্টা করে । গত (৫ আগষ্ট) বৃহস্পতিবার রাত ১১টার সময় মো: খলিল এর নেতৃত্বে ১০/১২ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্র দিয়ে আবদুল বারেক ও তার স্ত্রী আয়েশা বেগমকে কুপিয়ে মারাত্মক ভারে জখম করে , তার স্বামী আবদুল বারেক দুই পুত্র সন্তান মো: মোস্তফা (৪৩) ও মাসুক (৩৪) । এসময় স্থানীয় লোকজন তাদের আত্মচিৎকার শুনে এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায় এবং আহতদের উদ্বার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।এদিকে, মামলার বাদী আহত আবদুল বারেক জানান, হামলার সময় সন্ত্রাসীরা তাদেরকে মারধর ও জখম করে ক্ষান্ত হয়নি বরংচ তারা লুটপাট করে। আয়েশা বেগমের গলা থেকে এমটি স্বর্ণের চেইন ও নগদ ৩৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এঘটনায় শুক্রবার রাতে ৭ জনকে নামীয় আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার আসামীরা হলেন একই গ্রামের মৃত শরাফত আলীর ছেলে মো: খলিল (৪৫) ,ফজলু মিয়ার ছেলে মো: পেয়ার আহমেদ (৪৫), ফজলু মিয়ার ছেলে জসিম উদ্দীন (৪৩) ,মৃত সরাফত আলীর ছেলে মো: খোকা (৩০), কবির হোসেনের ছেলে মো: রাব্বী (২৮), পেয়ার আহমেদের ছেলে মো: শুভ (২২) ও মৃত সুজাত আলীর ছেলে মো: ফজলু মিয়া (৬০)। অপরদিকে, বুড়িচং থানার পুলিশ জানিয়েছেন বৃহস্পতিবার রাতে বুড়িচং থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ৩ জন আসামীকে আটক করে । পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। আটক ৩ জন সন্ত্রাসীকে পুলিশ জেল হাজতে প্রেরণ করেন। আটককৃত আসামীরা হলেন- পেয়ার আহমেদ , ফজলু মিয়া ও শুভ।
অপরদিকে, মামলার মোঃ আঃ বারেক অভিযোগ করে বলেন আসামি মোঃ খলিল ও তার লোজন বাড়িতে প্রবেশ করে মহিলাদের এবং বাদী কে প্রতিদিন বিভিন্ন ভাবে মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে প্রাননাশের হুমকি ধুমকি দিয়ে আসছে। এতে মামলার বাদী ও তার বাড়ির মহিলারা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে।