প্রকাশ : ২৩ জুন ২০২১, ২১:২০
ছেংগারচর পৌরসভার বেহাল দশা রাস্তা সংস্কার হয়নি অর্ধযুগেও
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভা প্রথম শ্রেণির হলেও রাস্তার অবস্থা দেখলে তা মনে হয় না। পৌর কার্যালয়ের সামনের রাস্তা সংস্কার নেই অর্ধযুগেরও বেশি সময়। রাস্তাগুলো দেখলে যে কেউ মনে করতে পারে অজপাড়া গাঁয়ের কোনো মাটির রাস্তা এটি। পৌরসভার আওতাধীন বেশ কিছু রাস্তায় যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা সেসব রাস্তা পায়ে হেঁটে চলারও অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পৌরসভার পক্ষ থেকে রাস্তাগুলো মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেই।
|আরো খবর
সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌর কার্যালয়ের (দক্ষিণ দিকে) সামনে থেকে ছেংগারচর বাজার-বারআনী রাস্তা ও ছেংগারচর বাজার-বারআনী-শিকিরচর রাস্তার বেহাল দশা। রাস্তাগুলোর কাপের্টিং উঠে গিয়ে, ছোট বড় খানা খন্দকে পরিণত হয়েছে। এমনকি রাস্তার বড় বড় গর্ত ও রাস্তাগুলো ভেঙে পড়েছে। ফলে এ পৌরসভার প্রত্যন্ত অঞ্চলে যোগাযোগের মাধ্যম ছোট বড় সকল যানবাহন এমনকি, ব্যাটারিচালিত অটো, ভ্যান ও মোটরসাইকেল আরোহীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
পৌর কার্যালয়ের (দক্ষিণ দিকে) সামনে থেকে ছেংগারচর বাজার-বারআনী রাস্তা পাশে ড্রেন করে তার রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে না। ড্রেন ওপর বেশির ভাগ অংশে স্ল্যাব না থাকা ও স্ল্যাবগুলো এলোপাতারি ফেলে রাখায় রাস্তায় পানি জমে রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আছে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাগুলো সংস্কার করা হয়নি। ৬/১২ বছর হয় রাস্তা মেরামত হয় না। মাঝে মধ্যে এলাকাবাসী গাড়ীর চালকরা নিজ উদ্যোগে রাস্তায় ইট কংকর ও বালু দিয়ে কোনোরকমে চলাচলের ব্যবস্থা করেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের দরকার ভালো রাস্তা ঘাট। আমরা একটু শান্তিতে চলাফেরা করতে চাই, কিন্তু সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করা যায় না। আসলে আমাদের চলাচলের এই রাস্তার ওপর পৌরসভার নজর নেই। পৌরসভার ভেতরে বসবাস করেও যদি ভাল রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে না পারি তাহলে আমাদের পৌরসভা দিয়ে কি হবে।
ছেংগারচর পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক(ভারপ্রাপ্ত) সোলেমান আহমেদ রতন বলেন, পৌরসভা বর্তমানে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হলেও বাড়েনি এর নাগরিক সুবিধা। সংস্কারের অভাবে অধিকাংশ রাস্তা খানা-খন্দকে পরিণত হওয়ায় সেগুলো যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলহাজ্ব রুহুল আমিন মোল্লা জানান, রাস্তাটি চলাচলে অনুপযোগী। বরাদ্ধ না পাওয়ায় সংস্কার করা যাচ্ছে না। ছেংগারচর পৌর সভার সহকারী প্রকৌশলী আবুল আনছার জানান, এ রাস্তাটি দুটি জরুরী ভিত্তিতে সংস্কারের প্রয়োজন। বরাদ্ধ না থাকায় কাজ করা যাচ্ছে না।
গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে থেকে পৌর সভার মেয়র আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম জজ পৌর এলাকায় না থাকায় এলাকাবাসী দূর্ভোগ লাগবের দাবী জানাতে পারছে না। দৈনিক চাঁদপুর কন্ঠের মাধ্যমে এলাকাবাসী দাবি জরুরি ভিত্তিতে বড় বড় খানাখন্দক ও ভেঙে যাওয়া রাস্তাগুলো সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।