প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২১, ২০:৩৩
সহিদ খানের বাড়িতে মাদকসেবনকারীদের আগুন
চাঁদপুর শহরের উওর শ্রীরামদী নিশিবিল্ডিং এলাকার কসাই খানা সংলগ্ন মরহুম সহিদ খানের পৈতৃক বাড়ির বসত ঘর ও রান্না ঘরে মাদক সেবনকারী ও মাদক ব্যবসায়ীদের দেয়া আগুনে ১টি বসতঘর ও ১ টি রান্না ঘর সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে। এতে প্রায় সোয়া লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
|আরো খবর
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর শহরের উওর শ্রীরামদী নিশিবিল্ডিং এলাকার কসাই খানা সংলগ্ন খান বাড়িতে স্হানীয় মাদকাসক্ত চক্রের প্রধান রনি মিয়া (২০) পিতা - নুর মোহাম্মদ সাং- উওর শ্রীরামদী নেতৃত্বে বেশকজন মাদক বিক্রেতা ও মাদকাসক্ত ২১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে চৌধুরীঘাটের ব্যবসায়ী মরহুম সহিদ খানের পৈতৃক বাড়ির রান্না ঘরে বসে মাদক সেবন করতে চাইলে তাতে বাঁধা দেওয়ায় হয়। পরবর্তীতে জোর পূর্বক ঐখানে মাদক সেবন শেষ করে আসার সময় রান্না ঘরে আগুন দিয়ে চলে আসে।
মুহূর্তে আগুনের লেলিহান শিখায় রান্না ঘর ও বসতঘর আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়। এক পর্যায়ে এলাকাবাসী আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।
অপরদিকে ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিক থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস যাওয়ার পূর্বেই আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
ঘটনার পর পরই স্হানীয় এলাকাবাসী অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী দলের প্রধান রনি মিয়া কে তাৎক্ষণিক আটক করলে ঘটনাটি সে নিজে ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করে।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, মরহুম সহিদ খানের এটি পৈত্রিক বাড়ি। তিনি বেশক বছর পূর্বে এ বাড়ি থেকে নেমে অন্যএ নতুন বাড়ি করে বসবাস করছে। ফলে এ ঘরটি ও রান্না ঘরটি তালাবদ্ধ থাকে । কিন্তু মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের নজরে পড়ে ঘরটি। তাই এ সূযোগ কে কাজে লাগিয়ে অপর্কম করে আসছে। এনিয়ে তাদের কে বাঁধা দিলে মনের ক্ষোভে এমন অর্পকম করছে বলে জানা গেছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে সমঝোতা চলছে। তবে একটি সূত্র জানায় ঘটনার মুল নায়ক স্হানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে রনির পরিবার ভবিষ্যৎতে এ ধরনের ঘটনা ঘটাবে না মর্মে মুছলেকা দিয়ে সমঝোতা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ দীর্ঘদিন যাবত উক্ত এলাকার কিশোর বয়সের একটি গ্রুপ মাদক বিক্রি ও সেবন করাই শুধু নয়, এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। এলাকাবাসী এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে এই গ্রুপের রোষানলে পড়ে হয়রানি শিকার হওয়ার ও অভিযোগ রয়েছে।