প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১:৩৯
পশ্চিম সকদীতে যুবকের মৃত্যু নিয়ে গুঞ্জন
হত্যা না আত্মহত্যা
চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের পশ্চিম সকদী গ্রামের এক যুবকের মৃত্যু নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যায়। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (২৭ ডিসেম্বর ২৫) দিবাগত রাতে।
জানা যায়, পশ্চিম সকদী গ্রামের তালুকদার বাড়ির শিমু তালুকদার (২৫) মারা যায়। এ খবর পরদিন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। শিমুর মৃত্যুর খবর পেয়ে এলাকার লোকজন তাকে একনজর দেখার জন্যে বাড়িতে গিয়ে ভিড় করে। খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ লাশ দেখে চলে আসে। কিন্তু শিমু কি আত্মহত্যা করেছে না তাকে হত্যা করা হয়েছে এ নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যায়। আর যদি সে স্বাভাবিকভাবে মারা যেতো, তাহলে থানা পুলিশ তাদের বাড়িতে কেনো গেলো? এমনকি শিমুর পরিবার লাশ দাফন না করে থানায় যাওয়ার রহস্য কী? এমন প্রশ্ন সচেতন মহলের।
একটি সূত্র জানায়, শিমু পূর্বে খালেক সর্দার বাড়ির সামনে (সাহেব বাজার) রাস্তার মাথায় মুদির দোকান দিয়ে ব্যবসা করে। পরে দোকান ছেড়ে দিয়ে বিভিন্ন কাজ করতো। এক পর্যায়ে তার মাথায় সমস্যা হয়। মাঝে মধ্যে
সে পাগলামি করতো।
ধারণা করা হচ্ছে, ঘটনার দিন সে পাগলামি করলে রাতের যে কোনো সময় তাকে বেধড়ক মারধর করলে সে মারা যায়। পরদিন সকালে পরিবারের লোকজন প্রচার করে শিমু মারা গেছে।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার ক'জন জানান, শিমুর মাথায় একটু সমস্যা ছিলো। কিন্তু তার পরিবারের লোকজন
রাতে তাকে মারধর করার কারণে সে মারা যায়। পরদিন লাশ দেখার জন্যে থানা পুলিশ আসে। এমনকি শিমুর পরিবারের লোকজন লাশ রেখে থানায় যায়। এ বিষয়ে প্রশাসনের খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।








