বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৫১

গণি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের দৃষ্টিনন্দন আট তলা ভবনের কাজ সমাপ্তির পথে

সেলিম রেজা ॥
গণি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের দৃষ্টিনন্দন আট তলা ভবনের কাজ সমাপ্তির পথে

চাঁদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী গণি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের আট তলা ভবনের কাজ সমাপ্তির পথে। বিগত সরকারের সময়ে বিশেষ প্রকল্পের আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভবন তৈরির অনুমোদন পায়। চাঁদপুরের শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় ১০তলা ভিত বিশিষ্ট ভবনের কাজ শুরু হয়। বর্তমানে আট তলা পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ১৭ কোটি ১ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ ভবনে শ্রেণিকক্ষ রয়েছে প্রায় ২০টি। এর মধ্যে রয়েছে

সম্পূর্ণ আধুনিক মানের একাডেমিক ফাংশন রুম, আইটি কালার ল্যাব, বিজ্ঞানাগার ও হল রুম। একটি অত্যাধুনিক মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যা থাকা প্রয়োজন তা অত্র বিদ্যালয় ভবনে বিদ্যমান থাকবে। মেঝেতে মোজাইক, পিলারের মধ্যে সিরামিক ব্রিকস বসানো হয়েছে। অত্র এলাকায় এতো বড়ো সুউচ্চ দৃষ্টিনন্দন ভবন প্রতিদিনই কারো না কারো নজর কাড়ছে।

এক হাজার কেজি ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি লিফট থাকছে ৮ তলা ভবনের জন্যে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্যে আলাদা জেনারেটর রুমে ১০০ কেবিএ ক্ষমতাসম্পন্ন জেনারেটর সংযোজন হচ্ছে। চলতি অর্থ বছরের অর্থাৎ ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে ভবনের কাজ সম্পন্ন হওয়ার মেয়াদ বেঁধে দেয়া থাকলেও আগামী দু মাসের মধ্যে শিক্ষা প্রকৌশল কর্তৃপক্ষ স্কুল কর্তৃপক্ষকে ভবন বুঝিয়ে দেবে। বিশেষ প্রকল্পের কাজ বিধায় মন্ত্রণালয় থেকে জোর তাগিদ ছিলো দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে। সে মতে চাঁদপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ অন্যান্য কর্মকর্তা প্রায় প্রতিদিনই কাজের তদারকি করতেন।

গুণগত মান রক্ষা ও ডিজাইন অনুযায়ী কাজ হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী অর্ণব দাস বলেন, নির্বাহী প্রকৌশলী মহোদয়ের অত্যন্ত তীক্ষ্ণ দৃষ্টি ছিলো এই কাজের প্রতি। শেষ মুহূর্তের ঘষামাজা চলছে। বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, টয়লেট ফিটিংসসহ অন্যান্য কাজ শেষ পর্যায়ে। লো ব্যাঞ্চ, হাই ব্যাঞ্চ, বিজ্ঞানাগারের টেবিলসহ অন্যান্য মালামাল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করাচ্ছেন। সুউচ্চ বাউন্ডারি দেয়াল এবং দৃষ্টিনন্দন গেট নির্মিত হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, বিদ্যালয়টিতে প্রায় ৮শ’ শিক্ষার্থী রয়েছে। শ্রেণিকক্ষের অপ্রতুলতায় পাঠদান ব্যাহত হতো। অচিরেই অত্যাধুনিক মানের ভবনে শিক্ষার্থীরা ক্লাস শুরু করতে পারবে। শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আমরা মহান আল্লাহতাআলার দরবারে শোকরিয়া আদায় করছি। বর্তমান সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকা প্রয়োজন সব ধরনের অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাই এই নূতন ভবনটিতে বিদ্যমান রয়েছে। নতুন বছর থেকে পুরোদমে আমরা এই নতুন ভবনে পাঠদান কার্যক্রম চালাতে পারবো।

এ বিষয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মঞ্জুরুল আলম শরীফ বলেন, এটি একটি বিশেষ প্রকল্পের কাজ। তাই মন্ত্রণালয়ের টিম, প্রকল্পের কর্মকর্তারা ঘন ঘন পরিদর্শন করেছেন। ইনশাল্লাহ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই আমরা ভবনটি স্কুল কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিতে পারবো। এ ভবনে লিফট, জেনারেটর সুবিধাসহ অত্যাধুনিক মনের সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়