প্রকাশ : ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ০০:১৩
শাহমাহমুদপুরে কাজ না করে প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

চাঁদপুর সদর উপজেলার ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নে কাজ না করে বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৪ নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান না থাকায় ইউপি সচিব এম এ কুদ্দুছ রোকন, ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সোহাগ পাটোয়ারী ও মো. কামাল হোসেন মিজির সার্বিক সহযোগিতায়
২৪-২৫ অর্থ বছরের বিভিন্ন প্রকল্পের নামে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। উপরের মহলের আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ায় সচিবের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলে কথা বলতে সাহস পায়নি। সচিব এমএ কুদ্দুছ রোকন দীর্ঘ ৫/৬ বছর ধরে শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। উপরের মহলের ক্ষমতার কারণে একই স্থানে দীর্ঘদিন ধরে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। তিনি কাজ না করিয়ে যোগসাজশ করে প্রকল্পের টাকা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেন।
প্রকল্পগুলো হচ্ছে : পাইকদী মিজি বাড়ি বায়তুল মামুর জামে মসজিদের অজুখানা নির্মাণ ও মাটি ভরাট। যার বরাদ্দের পরিমাণ ২ লাখ টাকা; ৫ নং ওয়ার্ডের
পাইকদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ সংস্কার, ৭ মেট্রিক টন গম; পাইকদী ঈদগাহ সংস্কার ২ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। এসব বরাদ্দ আত্মসাৎ করা হয়। এ প্রকল্পগুলোর কাজ সম্পন্ন না করে প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করে নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেন।
এ নিয়ে স্থানীয় দু বাসিন্দা চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
যার অনুলিপি বিভাগীয় কমিশনার চট্টগ্রাম, জেলা প্রশাসক চাঁদপুর, দুর্নীতি দমন কমিশন চাঁদপুর এবং সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক চাঁদপুর প্রেসক্লাবকে দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে ইউপি সচিব এম এ কুদ্দুছ রোকন বলেন, অজুখানার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বিদ্যালয়ের মাঠের কাজও সম্পন্ন হয়েছে। ঈদগাহের কাজ করা হয়নি।
ইউপি সদস্য সোহাগ পাটোয়ারী বলেন, আমি জানি কাজ হয়েছে।