যৌথবাহিনীর অভিযানে পৌর যুবদল নেতার নার্সারি থেকে গাঁজার গাছ উদ্ধার

ফরিদগঞ্জের কেরোয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদকের নার্সারি থেকে গাঁজার গাছ উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী। ফার্মের মালিক হচ্ছেন ফরিদগঞ্জ পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আমিন মিজি। অভিযানের সময় আমিন মিজিকে সেখানে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে যৌথবাহিনীর পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের কাছে প্রেস রিলিজ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বলেছে, গাঁজার গাছ আলামত হিসেবে থানায় জব্দ করা আছে। এ বিষয়ে থানায় জিডি করা হয়েছে।

বৃহম্পতিবার (২৬ জুন ২০২৫) দিবাগত রাতে ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার কেরোয়া গ্রামে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আমিন মিজির নার্সারিতে গাঁজার গাছ চাষ করার বিষয়ে ফরিদগঞ্জ সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর আসে। এতে সেনা সদস্য ও থানার পুলিশ ফোর্স ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার কেরোয়া গ্রামের আমিন মিজির মুরগির ফার্মের পাশের নার্সারিতে অভিযান পরিচালনা করে। সেখানে তারা গাঁজার গাছের সন্ধান পান। কাছেই অভিযুক্ত আমিন মিজির বসতবাড়ি।

অভিযানকালে যৌথবাহিনী আমিন মিজিকে খুঁজে পায়নি। পরে গাঁজার গাছ উদ্ধার করে তা আলামত হিসেবে ফরিদগঞ্জ থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। এদিকে গাঁজার গাছ উদ্ধারের বিষয়ে ফরিদগঞ্জ সেনা ক্যাম্প থেকে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে প্রেস রিলিজ পাঠানো হয়েছে। ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবু তাহের জানিয়েছেন, ফার্মটি সাবেক পৌর কাউন্সিলর ও পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আমিন মিজির। অভিযান পরিচালনার সময় তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। গাঁজার গাছ আলামত হিসেবে থানায় জব্দ আছে।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা যুবদলের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, আমিন মিজি যুবদল ফরিদগঞ্জ পৌর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ফরিদগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর। এ বিষয়ে অভিযুক্ত আমিন মিজির মুঠোফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি। সরজমিনে গেলে ওই এলাকার বাসিন্দা ইসহাক মিয়ার দোকানে বসা লোকজনকে বলতে শোনা গেছে, সেনাবাহিনী এখান থেকে গাঁজার গাছ উদ্ধার করেছে।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সভাপতি আমজাদ হোসেন শিপন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নান্টু ও পৌর যুবদলের সভাপতি ইমাম হোসেন পাটওয়ারী বলেছেন, যৌথবাহিনী কর্তৃক গাঁজার গাছ উদ্ধারের ঘটনাটি নানা মাধ্যমে শুনেছি। যে কোনো অপরাধের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পদক্ষেপের প্রতি আমাদের সম্মান ও সমর্থন আছে।

ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহ আলম বলেছেন, ফার্ম থেকে গাঁজার গাছ উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।