চাঁদপুর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভা

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন চাঁদপুর শহরের ঘোলঘরস্থ বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (১ জুন ২০২৫) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, চাঁদপুরের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সাহায্যে সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসতে পারেন। এই জেলার প্রবাসীরাও সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে পারেন। এই বিদ্যালয়ের জন্যে সমাজের দানশীল ধনাঢ্য ব্যক্তিরা ১৫ শতাংশ ভূমিদান করতে পারেন। সেখানে আমি সরকারিভাবে ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিবো স্কুলের ভবন করার জন্যে। এই বিদ্যালয়ের জন্যে সরকারের তরফ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করবো। আপনারা যারা প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করেন তারা সমাজের আলোকিত মানুষ। বিদ্যালয়ের জন্যে কিছু ফান্ড তৈরি করুন। অনেক দানশীল ব্যক্তি আছেন, তারা সহযোগিতা করবেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা প্রতিমা রাণী ভৌমিকের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক সোহেল রুশদী, চাঁদপুর জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা সুমন নন্দী, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও চাঁদপুর সরকারি কলেজের প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ মো. ইসমাইল তপাদার কাঞ্চন, চাঁদপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের প্রতিনিধি পরিদর্শক সুমন খান, চাঁদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের প্রতিনিধি সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোসাদ্দেক হোসেন, চাঁদপুর জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. নজরুল ইসলাম, সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজিবুর রহমান, বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য মো. তাজুল ইসলাম মজুমদার, সহকারী শিক্ষক মো. মোরশেদ আলম খান প্রমুখ।

সভাশেষে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিদ্যালয়ের সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিনকে ৪৬তম বার্ষিক প্রতিবেদনের বই তুলে দেন গভর্নিং বডির সদস্যবৃন্দ ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকাসহ সদস্যবৃন্দ। এছাড়া সভায় বিদ্যালয়ের জনবল সংকট সমাধানের জন্যে বিধি মোতাবেক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নিয়োগের ব্যবস্থা নেয়া, বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা বিচিত্রা সাহার স্থলে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া, বিদ্যালয়ের জন্যে পৌর এলাকা ও পৌর এলাকার বাইরে নতুন করে ভূমি বরাদ্দের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রাখাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং অনুমোদন করা হয়।