প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৫, ২০:৩৮
সিদ্দিকা বেগম বালিকা উবির নিরাপত্তা প্রহরীর ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

মতলব উত্তর উপজেলার সিদ্দিকা বেগম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরী আদুরভিটি বলাইখারকান্দি গ্রামের মো. রুস্তম আলী মিয়াজীর ছেলে মো. সোলেমান মিয়াজীর (৪০) ওপর পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে এবং আসামি গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
শনিবার (২২ মার্চ ২০২৫) সকালে বিদ্যালয়ের সামনে স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী ও নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করে। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিদ্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে ছেংগারচর বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মতলব উত্তর থানার সামনে এসে শেষ হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনির হোসেন পাটোয়ারী, অভিভাবক সদস্য আবু তাহের সুমন, শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সানিয়া আক্তার, অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মারজানা আক্তার, স্থানীয় বাসিন্দা ইসমাইল, ইতি আক্তার, শিখা আক্তার, আহত সোলাইমান মিয়াজির পিতা রুস্তম মিয়াজি।
মানববন্ধনের বক্তারা বলেন, সিদ্দিকা বেগম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরী মো. সোলেমান মিয়াজীর উপর নৃশংস হামলা চালানোয় তিনি এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। এ ঘটনায় তার বাবা রুস্তম আলী মিয়াজী থানায় মামলা করলেও পুলিশ এখনো কোনো আসামি গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি আসামি গ্রেপ্তার না হয় তাহলে আন্দোলন আরো কঠিন হবে।
মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রবিউল হক জানান, সোলাইমান মিয়াজির ওপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।
উল্লেখ্য, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার (১৯ মার্চ ২০২৫) সিদ্দিকা বেগম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরী মো. সোলেমান মিয়াজীকে বলাইরখারকান্দি গ্রামে তার নিজ বাড়িতে একই এলাকার সাইফুল ইসলাম মিয়াজী ও তার ছেলে মো. হৃদয় মিয়াজী দেশীয় ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতির কারণে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।