শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২৫, ২২:২২

ফরিদগঞ্জে মায়ের দেয়া জমিতে মেয়েকে বসতঘর নির্মাণে বাধা।। ভাংচুরের অভিযোগ

ফরিদগঞ্জ ব্যুরো।।
ফরিদগঞ্জে মায়ের দেয়া জমিতে মেয়েকে বসতঘর নির্মাণে বাধা।। ভাংচুরের অভিযোগ

ফরিদগঞ্জে মায়ের দেয়া রেজিস্ট্রিকৃত জমিতে বসতঘর নির্মাণে মেয়েকে বাধা ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ ও দফায় দফায় সমাঝোতা বৈঠক হলেও সমাধান মিলেনি। ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার ৫নং ওয়ার্ডের পশ্চিম বড়ালী ছমিদ পাটওয়ারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী আলেয়া বেগম ওই বাড়ির সমিদ সর্দার ও শামছুন্নাহার দম্পতির মেয়ে।

আলেয়া বেগম জানান, আমার স্বামী গরিব অটোচালক। আমার স্বামীর কোনো সম্পত্তি না থাকায় আমার প্রয়াত মা আমাকে তার নিজের ওয়ারিশের সম্পত্তি থেকে ৯ শতক জমি প্রায় দশ বছর পূর্বে রেজিস্ট্রি করে দেন। আমার স্বামী খারিজকৃত ওই জমির নিয়মিত খাজনা ও পৌরকর দিয়ে আসছেন। আমি ওই সম্পত্তিটি ডোবা থাকায় ধীরে ধীরে ভরাট করে একটি টিনের দোচালা ঘর নির্মাণ করি। সম্প্রতি ধারদেনা করে ওই সম্পত্তিতে পাকা ভবন নির্মাণের জন্যে ইট-বালু নিয়ে আসি। কিন্তু এর পরপরই আমার মামাতো ভাই মশিউর রহমানসহ অন্যরা বাধা দেয়। এক পর্যায়ে গত ২১ ফেব্রুয়ারি আমার দোচালা টিনের ঘর ভাংচুর করে এবং ইট-বালুগুলো লুটপাট করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে স্থানীয়ভাবে কয়েকবার সালিসের চেষ্টা হলেও তা ব্যর্থ হওয়ায় বাধ্য হয়ে লিখিত অভিযোগ করেছি। থানাতে বসা হলেও সেখানেও অদ্যাবধি কোনো সুরাহা হয়নি।

স্থানীয় লোকজন জানান, আলেয়া ও হারুন দম্পতির যেহেতু কোনো যাওয়ার জায়গা নেই, তাই তাদের এই সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলা না করে তাদের বসবাসের একটা ব্যবস্থা করে দিলেই সকলের জন্যে মঙ্গল।

এদিকে মশিউর রহমান বলেন, আলেয়া বেগম আমার ফুফাতো বোন। তারা যেই জমি দাবি করছে তা তাদের নয়। আমাদের এখনো বন্টকনামা হয়নি। এখানে আমাদের সম্পত্তিও রয়েছে, তাই আমরা বাধা দিয়েছি।

অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসআই জুয়েল মিয়া জানান, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। স্থানীয়ভাবে সমঝোতার জন্যে একটি তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এরপরও সুষ্ঠু সমাধান না হলে আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়