বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫  |   ২৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৫, ২১:৪৬

মোহনপুরে দুই ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

মতলব উত্তরে সরকারি চাল বিতরণে অনিয়ম

মতলব উত্তরে সরকারি চাল বিতরণে অনিয়ম
অনলাইন ডেস্ক

পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দরিদ্রদের মাঝে চাল বিতরণের জন্যে দেয় সরকার। অভিযোগ উঠেছে, নির্ধারিত ১০ কেজির পরিবর্তে নিজের অনুগতদের মাঝে ৭ কেজি করে চাল বিতরণ করে ও ৪ টন চাল গোপনে বিক্রি করে। এমন অভিযোগ মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য রিয়াদ ও ৮নং ওয়ার্ড সদস্য নাদিমের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে ওই ইউনিয়নের মো. সানাউল্লাহ হাওলাদার নামে এক বাসিন্দা মঙ্গলবার (১৭ মার্চ ২০২৫) মতলব উত্তর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে মো. সানা উল্লাহ হাওলাদার উল্লেখ করেন, বর্ণিত ১ ও ২নং বিবাদী (রিয়াদ মেম্বার ও নাদিম মেম্বার) আমাদের মোহনপুর ইউনিয়নের ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। বর্ণিত ৩নং বিবাদী (বিল্লাল হোসেন) অত্র ইউনিয়নের সরকারি লাইসেন্সপ্রাপ্ত ন্যায্যমূল্যের পণ্য বিতরণকারী ব্যক্তি। আমি অত্র ইউনিয়নের একজন বাসিন্দা হিসেবে সমাজের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত আছি। বর্ণিত ১, ২ ও ৩নং বিবাদী দীর্ঘদিন যাবত অত্র ইউনিয়নের সরকারি অনুদান আত্মসাৎ করে আসছে। ইতিপূর্বে বিবাদীদেরকে আমরা স্থানীয় লোকজন বাধা- নিষেধ করে আসছি। কিন্তু বিবাদীরা কারো কোনো কথার তোয়াক্কা না করে তাদের অপকর্ম অব্যাহত রাখার এক পর্যায়ে ঘটনার দিন ( ১৬ মার্চ ২০২৫) দুপুর দেড়টায় ৭নং মোহনপুর ইউনিয়নে বর্ণিত ১-২নং বিবাদী (রিয়াদ মেম্বার ও নাদিম মেম্বার) অজ্ঞাতনামা বিবাদীদের সাথে নিয়ে মোহনপুর ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে সরকারি বরাদ্দকৃত ২০ টন চাল নিয়ে আসে। বর্ণিত বিবাদীরা ১৬ টন চাল জনসাধারণের মাঝে বিতরণ করলেও ইউনিয়নের প্রায় ৬০জনের অধিক লোক তাদের কার্ডের প্রাপ্য চাল না পেলে আমিসহ আমাদের এলাকার লোকজন ইউপি সচিবকে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারি, ২০ টন চাল আসলেও ১৬ টন বিতরণ হয়। এমনকি জনপ্রতি ১০ কেজি বিতরণের কথা থাকলেও জনপ্রতি ৭ কেজি করে বিতরণ করে বিবাদীরা। আমি এলাকার লোকজন নিয়ে ১-২নং বিবাদীকে জিজ্ঞাসাবাদে বিবাদীরা কোনো সদুত্তর না দিয়ে বেপরোয়া কথাবার্তা বলাবলি করে এবং বিভিন্ন হুমকি-ধমকি প্রদান করে। ১-২নং বিবাদী উক্ত ৪ টন চাল চুরি করে অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। তাছাড়া বর্ণিত ৩নং বিবাদী ন্যায্যমূল্যের পণ্য ৫ কেজি চালে ৩০০ গ্রাম চাল কমে বিতরণ করে আসছে। বিবাদীদের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে আমরা এলাকার লোকজন আলোচনা করে এ বিষয়ে যথাযথ আইনী ব্যবস্থাগ্রহণের আশায় থানায় অভিযোগ দাখিল করি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়