প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৫, ২০:৩৮
নিজস্ব সমন্বয়ক বাহিনী দিয়ে কার্ড বিতরণের অভিযোগ
ফরিদগঞ্জে ভিজিএফের চাল নিয়ে ইউপি সচিবের চালবাজি!

ভিজিএফের চাল নিয়ে চালবাজি করেছেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব গোলাম মোস্তফা শামিম।
ভিজিএফের চাল বিতরণের জন্যে ইউপি চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্যদের সাথে আলাপ-আলোচনা না করেই নিজস্ব কথিত ছাত্র সমন্বয়ক দিয়ে কার্ড বিতরণ করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে। শুধু নিজস্ব ছাত্র সমন্বয়ক বাহিনী দিয়ে কার্ড বিতরণ করেই ক্ষান্ত হননি তিনি, তিনি চাল বিতরণও করেছেন তার নিজস্ব ছাত্র সমন্বয়ক বাহিনী দিয়ে।
ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশের দফাদার ও সদস্যরা জানান, আমরা সবাই থাকার পরও তিনি তার লোক দিয়ে সকল কিছু তদারকি করেছেন। তিনিই (গোলাম মোস্তফা) সবাইকে কার্ড দিয়েছেন। এছাড়া চাল বিতরণের দিন ইউনিয়ন পরিষদে কেউ কার্ড কেড়ে নেয়নি এবং এখানে কোনো ঝামেলা হয় নি বলে তারা জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ইউপি সদস্য জানান, সচিব তার নিজস্ব বাহিনী দিয়ে পরিষদ পরিচালনা করেন। ইউপি সদস্য হিসেবে আমরা থেকেও নাই।
খোদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের পাটওয়ারী অত্যন্ত আবেগাপ্লুত হয়ে জানান, আমি ফ্যাসিবাদের আমলে জনগণের ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান। ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি। ভোটাররা আমাকে ভালোবেসে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন। আমি তাদেরকে একটা ভিজিএফের কার্ড হাতে দিতে পারি না। সচিব আমাকে না জানিয়ে নিজে নিজে কাকে কীভাবে কার্ড দিচ্ছেন তা আমি জানি না। এছাড়া তিনি আরো বলেন, এই সচিব আসার পরে সরকারিভাবে কী আসে বা না আসে তার কিছুই আমাকে জানানো হয় না। শুধু মাঝেমধ্যে বিভিন্ন কাগজে আমার স্বাক্ষর নেন।
এসব বিষয়ে সচিব গোলাম মোস্তফা শামিম বলেন, ভিজিএফ'র চালসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা যা কিছুই আসে, সবকিছুই সকলের সাথে আলোচনার মাধ্যমেই হয়। আর চেয়ারম্যান সকল বিষয়ে অবগত হয়েই স্বাক্ষর করেন। তিনি আরও বলেন, আমরা চাল বিতরণ করে কার্ড সংগ্রহ করতেছি, এমন সময় সমন্বয়ক পরিচয়ে মোস্তফা নামের একজন ১০টি কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং হট্টগোল সৃষ্টি করে। এ বিষয়ে মোস্তফা নামের ওই সমন্বয়ক জানান, কার্ড ছিনিয়ে নেয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুলতানা রাজিয়া বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। তাদের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেবো।