প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:২৭
হামানকর্দি বেড়িবাঁধের মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়

চাঁদপুর সদর উপজেলার ৬নং মৈশাদী ইউনিয়নের হামানকর্দি বেড়িবাঁধ সংলগ্ন স্থান থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এসব মাটি স্থানীয় ইট ভাটায় বিক্রি করা হয়।
জানা যায়, স্থানীয় কিছু মাটি ব্যবসায়ী বেড়িবাঁধ সংলগ্ন কৃষি জমির মাটি ক্রয় করে। ক্রয়কৃত মাটি কেটে তারা ট্রলার যোগে ইটভাটায় নিয়ে বিক্রি করে। যার ফলে বেড়িবাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে।
এমনিতে জন্মের পরে বেড়িবাঁধের কোনো সংস্কার কাজ করা হয়নি। যার ফলে দিন দিন বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাচ্ছে।
বেড়িবাঁধে থাকা লাখ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির গাছগুলোর কোনো রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়নি। ফলে বড়ো বড়ো গাছগুলো মরে যাচ্ছে। এতে সরকার লাভবান হওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, স্থানীয় অনেকে বলেন,
কিছু মাটি ব্যবসায়ী বাঁধ সংলগ্ন জমির মালিকদের নিকট হতে মাটি ক্রয় করে। মাটি ক্রয় করার সময় বাঁধ থেকে দূরত্ব না করে বাঁধ সংলগ্ন স্থান পর্যন্ত সীমানা দিয়ে মাটি ক্রয় করে কেটে নিয়ে আশপাশের ইটভাটায় নিয়ে যায় । এসব মাটি বর্ষা মওসুমে মৈশাদী, হামানকর্দি ও শাহতলীর ইটভাটায় নিয়ে বিক্রি করে থাকে। শুষ্ক মওসুমে হামানকর্দির ইটভাটায় বেশি বিক্রি করা হয়। এমনকি বর্ষা মওসুমে বাঁধের মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করা হয়ে থাকে। এরা প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে কেউ মুখ কথা বলতে সাহস পায় না। এভাবে মাটি নিতে থাকলে বেড়িবাঁধ একদিন বিলীন হয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে ইটভাটার মালিক মনির ভুঁইয়া বলেন, বর্ষা মৌসুমে হামানকর্দি বেড়িবাঁধের ভেতরের ফসলি জমি ও বাঁধ সংলগ্ন জমির মাটি শাহতলী ও মৈশাদীসহ বিভিন্ন ইটভাটায় নিয়ে বিক্রি করে ট্রলার মালিকরা।ইটভাটার মালিকরা কোনো মাটি কিনেন না।ট্রলার মালিকদের নিকট হতে ভাটার মালিকরা মাটি ক্রয় করেন। শুষ্ক মৌসুমে বাঁধের পাশ থেকে জমিনের যে মাটি কাটা হয় তাও ট্রলার মালিকরা ক্রয় করে বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করেন। আমরা ট্রলার মালিকদের নিকট হতে মাটি কিনে থাকি।