বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫  |   ৩০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০২৫, ০২:৪৬

শ্রীনগরে ভাসমান ফলের বাজার: সাশ্রয়ী দামে তরমুজ-বাঙ্গি কিনতে উপচে পড়া ভিড়

আব্দুল মান্নান সিদ্দিকী
শ্রীনগরে ভাসমান ফলের বাজার: সাশ্রয়ী দামে তরমুজ-বাঙ্গি কিনতে উপচে পড়া ভিড়

রমজানের ইফতার মানেই ফলের বিশেষ কদর। মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ঢাকা-দোহার সড়কে গড়ে ওঠা ভাসমান ফলের দোকানগুলো তাই এখন ব্যস্ত সময় পার করছে। বিকেলের পরপরই এসব দোকানের সামনে ভিড় বাড়তে থাকে, মুহূর্তেই শেষ হয়ে যাচ্ছে তরমুজ-বাঙ্গি। দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় সাধারণ ক্রেতারা এসব দোকানের দিকে বেশি ঝুঁকছেন।

কম দামে ভালো মানের ফল, তাই ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি

গতকাল (১২ ফেব্রুয়ারি, ১১ রোজা) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার দুই পাশে সারি সারি ভাসমান দোকান। কেউ ভ্যানের ওপর, কেউবা সামান্য শেড দিয়ে বসিয়েছেন দোকান। বাজারের তুলনায় এখানে দাম কিছুটা কম, তাই ক্রেতাদের ভিড়ও বেশি।

ফলের ক্রেতা তৈয়ব আলী বলেন, "রমজানে ইফতারিতে ফল খাওয়া সুন্নত। তাই চেষ্টা করি ভালো ফল কিনতে। বাজারের চেয়ে এখানে দাম কিছুটা কম, তাই আমি এখান থেকেই কিনছি। মাত্র ১২০ টাকায় একটা বড় তরমুজ পেয়েছি, যা বাজারে গেলে আরও ২০-৩০ টাকা বেশি লাগত।"

কেমন দামে বিক্রি হচ্ছে ফল?

দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তরমুজের দাম: ৮০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত (আকার ও মানভেদে) বাঙ্গির দাম: ৩০-৫০ টাকা প্রতি পিস আপেল, কমলা, খেজুর–সবকিছুরই দাম বাজারের তুলনায় কিছুটা কম

ভাসমান দোকানদার রহিম মিয়া বলেন, "ভ্যানের উপর দোকান, তাই দোকান ভাড়ার খরচ নেই। সরাসরি পাইকারি বাজার থেকে এনে কম দামে বিক্রি করি। এতে আমাদের লাভও হয়, ক্রেতারাও খুশি। বিক্রি এত ভালো যে সন্ধ্যার আগেই সব শেষ হয়ে যায়।"

ভাসমান দোকান কি বাজারের প্রতিযোগী?

শ্রীনগরের স্থায়ী বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভাসমান দোকানগুলোতে বাড়তি খরচ না থাকায় দাম কম রাখা সম্ভব, যা তাদের জন্য প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি করছে। তবে ক্রেতারা এতে বেশ সন্তুষ্ট। স্থানীয় এক ক্রেতা বলেন, "আমরা তো চাই কম দামে ভালো জিনিস। এখানে সেটা পাচ্ছি, তাই বারবার আসছি।"

রমজান যত এগিয়ে যাবে, ভাসমান ফলের বাজার তত জমে উঠবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে প্রশাসনের নজরদারি থাকলে ক্রেতারা আরও বেশি উপকৃত হবেন বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

ডিসিকে/এমজেডএইচ

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়