প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২৫, ০০:৪৪
শ্রীনগরে ফুটপাতের ফলের দোকানে ভিড়, ব্যবসা জমজমাট

পবিত্র মাহে রমজানের দ্বিতীয় দিনেই মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় ফুটপাতের ফলের দোকানগুলোতে বেচাকেনার ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো। বাজারের তুলনায় তুলনামূলক কম দামে ফল পাওয়ায় ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন এসব দোকানে।
|আরো খবর
শ্রীনগরের ফুটপাতের ফল ব্যবসায়ী আব্দুস সামাদ জানান, তিনি তার নিজস্ব জমি থেকে সরাসরি ফল এনে বিক্রি করেন, যার ফলে বাজারের সাজানো দোকানগুলোর তুলনায় কম দামে ফল দিতে পারেন। এতে ক্রেতাদের মধ্যে আগ্রহ বেশি দেখা যাচ্ছে এবং তার দোকানে বেচাকেনা ভালো হচ্ছে।
একজন ক্রেতা, রহিম উদ্দিন, জানান— ফুটপাতের দোকান থেকে তিনি কলার হালি ২০ টাকা এবং বাঙ্গি ৮০ টাকায় কিনেছেন, যা বাজারের সজ্জিত দোকানে কিনতে হলে কলার হালি ৩০ টাকা এবং বাঙ্গি ১২০ টাকা পড়তো। এ কারণে অনেকেই বাজারের চেয়ে ফুটপাতের দোকান থেকেই ফল কিনতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন।
ফুটপাতের দোকানিরা জানান, বাজারের খরচ ও দোকান ভাড়া না থাকায় তারা তুলনামূলক কম দামে ফল বিক্রি করতে পারেন। এতে স্বল্প ও মধ্যবিত্ত ক্রেতারা তাদের কাছেই ভিড় করছেন।
রমজানে সেহরি ও ইফতারে ফলের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ফুটপাতে কলা, বাঙ্গি, আপেল, কমলা, খেজুরসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফলের সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, রমজান মাসজুড়ে এ ব্যবসায় আরও প্রসার ঘটবে বলে তারা আশাবাদী।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মতে, রমজান মাসে ফলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ভোক্তাদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে ফুটপাতের এই বিকল্প বাজার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
ডিসিকে/এমজেডএইচ