মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ, ২০২৫  |   ২৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৩ মার্চ ২০২৫, ২০:৩৬

বিএডিসি প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশনা অমান্যের অভিযোগ

শাহরাস্তি ব্যুরো।।
বিএডিসি প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশনা অমান্যের অভিযোগ
শাহরাস্তিতে আদালতের নির্দেশনা অমান্য করায় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন খিলা খাল ভাসমান সেচ প্রকল্পের সাবেক কেন্দ্রীয় ম্যানেজার জহিরুল ইসলাম মাসুদ।

শাহরাস্তি উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্বে নিয়োজিত হাজীগঞ্জ উপজেলা বিএডিসি'র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশনা অমান্য ও তা বাস্তবায়নে গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৩ মার্চ ২০২৫) দুপুরে শাহরাস্তি প্রেসক্লাবে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে গত অর্থ বছরে উপজেলার খিলা খাল ভাসমান সেচ প্রকল্পের দায়িত্ব পালনকারী সেচ ম্যানেজার মো. জহিরুল ইসলাম মাসুদ এ অভিযোগ করেন।

তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বিগত ২০২২-২০২৩ ও ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে তিনি এ প্রকল্পের কেন্দ্রীয় ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছেন। উপজেলা সেচ কমিটির পক্ষ থেকে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে সাইফুল ইসলাম দিদারকে সেচ ম্যানেজারের দায়িত্ব দেয়া হয়। সেখানে তিনিসহ ৭ জন আবেদন করলেও শাখা ম্যানেজারদের মতামতকে অগ্রাহ্য করে এ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে অনিয়মের অভিযোগ এনে শাখা ম্যানেজাররা বিগত সময়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও পরবর্তীতে প্রেস কনফারেন্সে এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেও সংশ্লিষ্ট দফতর তাতে সাড়া দেয় নি। এ ঘটনায় তিনি গত ১৭ ডিসেম্বর মহামান্য হাইকোর্টে সাইফুল ইসলাম দিদারকে দেয়া সেচ ম্যানেজারের দায়িত্ব বাতিলের জন্যে একটি রিট পিটিশন করেন। গত ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ আদালত সাইফুল ইসলাম দিদারকে প্রকল্পের সেচ ম্যানেজারের দায়িত্ব প্রদানকে অবৈধ বলে নির্দেশ দেন। এরপর তাকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করে ৩ মাসের জন্যে জেলা বিএডিসির উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্র সেচ)কে এ প্রকল্পের দায়িত্ব গ্রহণের কথা থাকলেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় তিনি গত ১৬ ফেব্রুয়ারি জেলা বিএডিসি সহকারী প্রকৌশলী মো. খলিলুর রহমানকে অবগত করেন। জেলা কর্মকর্তা ২/৩ দিনের মধ্যে দায়িত্ব বুঝে নিবেন বলে জানান। এরপর ১মাস অতিবাহিত হলেও বিএডিসি উপ-সহকারী প্রকৌশলী মামুনুর রশিদের ছত্রছায়ায় আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে অবৈধভাবে সাইফুল ইসলাম দিদারকে দিয়ে সেচ ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করাচ্ছেন। দিদারের পন্টুন ড্রাইভার মিজান দিদারের হয়ে শাখা ম্যানেজারদের কাছ থেকে জোরপূর্বক অর্থ আদায় করছেন।

এ বিষয়ে বিএডিসি উপ-সহকারী প্রকৌশলী মামুনুর রশিদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আদালতের নির্দেশনার পর থেকে সাইফুল ইসলাম দিদার এ প্রকল্পের ম্যানেজারের দায়িত্ব নেই। যদি কেউ টাকা উত্তোলন করে থাকে সেটা বিধি বহির্ভূত। এমন অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাবেক কেন্দ্রীয় ম্যানেজার জহিরুল ইসলাম মাসুদের বিরুদ্ধে বিগত সময়ে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। আদালতে এ সংক্রান্ত বিষয়ে মামলা থাকায় সে সময় তাকে সেচ ম্যানেজারের দায়িত্ব দেয়া হয় নি। প্রসঙ্গত, প্রতি বছর খিলাখাল ভাসমান সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে শাহরাস্তি, কচুয়া, কুমিল্লার বরুড়া, লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলার ১ হাজার ৫ শ’ হেক্টর কৃষিজমিতে সেচের পানি সরবরাহ করা হয়। প্রকল্পটি নিয়ে টানাটানিতে এ অঞ্চলের ৫০ হাজার কৃষক চলতি বোরো মৌসুমে ধান চাষ নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়