রবিবার, ০২ মার্চ, ২০২৫  |   ২৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২৫, ২২:৪৩

মতলব উত্তরের জহিরাবাদ ইউনিয়নে জেলেদের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

মতলব উত্তর ব্যুরো
মতলব উত্তরের জহিরাবাদ ইউনিয়নে জেলেদের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

মতলব উত্তর উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়নে জেলেদের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জাটকা ইলিশ সংরক্ষণের অভয়াশ্রমে নদীতে ৬০ দিনের জন্যে মাছ ধরা নিষিদ্ধ। তাই জেলেদের সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। এজন্যে সরকার কর্তৃক নিবন্ধিত জেলেদের জন্যে প্রতি মাসে জনপ্রতি ৪০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তবে প্রকৃতপক্ষে জেলেদের চাল দেয়া হচ্ছে ২৭/২৮ কেজি করে। এতে প্রকৃত কার্ডধারী জেলেরা হতাশ। তারা বলেন, বিগত দিনের মতো আমাদের এখনো চাল কম দেয়া হয়। এখন দেশ স্বাধীন। তারপরও আমরা যদি সঠিকভাবে চাল না পাই তাহলে আমাদের দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কিছু নয়। জেলে কার্ডধারীরা অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, আমাদের কার্ড আছে, চাল দেয়ার কথা ৪০ কেজি। কিন্তু পাচ্ছি ২৭/২৮ কেজি করে।

সরজমিনে জহিরাবাদ ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, জেলেদের চাল বিতরণ হচ্ছে। ৪০ কেজির পরিবর্তে দেয়া হচ্ছে ৩০ কেজির বস্তা। তবে জেলে জানান, ৩০ কেজির বস্তায় আছে ২৭/২৮ কেজি। উপস্থিত পাওয়া যায়নি ট্যাগ অফিসারকে।

জহিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী সেলিম রেজা বলেন, আমার ইউনিয়নে জেলে আছে ৮শ’ ৪১জন, কিন্তু চাল পেয়েছি ৭শ' ৬৬ জনের। তাই সমন্বয় করে ৩০ কেজি করে চাল দিচ্ছি।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস বলেন, প্রত্যেক কার্ডধারী জেলেকে ৪০ কেজি দিতে হবে, কম দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

মতলব উত্তর উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার ও জহিরাবাদ ইউনিয়ন ট্যাগ অফিসার সাইফুল ইসলাম জানান, সকালে চাল বিতরণকালে আমি ছিলাম। এখন দুপুর হয়েছে, তাই খেতে আসছি। বরাদ্দ কম পাওয়ায় এবং জেলে সংখ্যা বেশি হওয়ায় সমন্বয় করে ৩০ কেজি করে দেয়া হয়েছে।

মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা কুলসুম মনি বলেন, অভিযোগ পেয়ে জহিরবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে কথা হয়েছে। কার্ডধারীকে ৪০ কেজি করে দিতে হবে এবং কার্ড সংশোধন করতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়