রবিবার, ০২ মার্চ, ২০২৫  |   ২৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

সচেতন জেলে ও সুধীমহলের অভিমত

জেলে আটক না করে নৌকা জব্দ করলেই জাটকা শতভাগ রক্ষা পাবে

প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২৫, ২১:৫৮

জেলে আটক না করে নৌকা জব্দ করলেই জাটকা শতভাগ রক্ষা পাবে
বাদল মজুমদার

'জেলে আটক না করে নৌকা জব্দ করলেই জাটকা শতভাগ রক্ষা পাবে'। এমনই পরামর্শ দিয়েছেন সচেতন জেলে ও সুধীজন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৮০ বছর বয়সী এক জেলে বলেন, সাঁতার কেটে মাছ ধরা সম্ভব নয়। নদীতে জাল ফেলতে নৌকার প্রয়োজন হবেই হবে। জাকি জাল দিয়ে পুকুরে মাছ ধরা যায়, কিন্তু নদীতে মাছ ধরতে হলে নৌকার প্রয়োজন হয়। জেলেদের মাছ ধরার প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে নৌকা। সে কারণেই দুমাসের অভয়াশ্রম শুরুর আগে জেলে নৌকা জব্দ করলে জাটকা রক্ষা অভিযান সফল হবেই হবে।

সুধীজনরা বলেন, সরকার জেলেদের চাল, সেলাই মেশিন, গরু, ছাগল তো প্রতিবছর দিয়ে থাকে। কিন্তু কোনো লাভ হচ্ছে কি? যেসব অসাধু জেলে জাটকা নিধনে মেতে উঠে, তারাও সরকারের খাদ্য সহায়তা পাচ্ছে। জাটকা রক্ষা করতে হলে যতদিন পর্যন্ত এই সময়টাতে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান না হবে, ততদিন জেলেদের জাটকা ধরা বন্ধ করা অসম্ভব। তারা বলেন, জাটকা রক্ষায় নদীর পাড় এলাকার যেসব ইউনিয়ন রয়েছে, সেইসব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের জাটকা রক্ষা অভিযানে সরাসরি সম্পৃক্ত করতে হবে। চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা সংশ্লিষ্ট থাকলে একজন জেলেও নদীতে মাছ ধরার সাহস করবে না।

তারা আরো বলেন, প্রকৃত জেলে সংখ্যা নির্ণয় করতে হবে। এমন জেলে রয়েছে যাদের জীবন-জীবিকা নদীতে মাছ ধরা। কিন্তু তাদের জেলে হিসেবে নিবন্ধন করা হয় নি। তারা সরকারের জেলে হিসেবে সহায়তা পাচ্ছে না। আবার এমনও দেখা যায়, নদী অথবা পুকুরেও কোনোদিন মাছ ধরে নি, তারা জেলে হিসেবে সরকারের সহায়তা পাচ্ছে। তারা বিভিন্ন সময়ে অসাধু উপায়ে জেলে হিসেবে নিবন্ধন করে ফেলেছে। নদীতে যেসব নৌকা দিয়ে মাছ ধরা হয় সেই সব নৌকার নিবন্ধনের মাধ্যমে পুনরায় জেলে সংখ্যা নিবন্ধন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানান তারা।

উল্লেখ্য, মার্চ-এপ্রিল ২ মাস চাঁদপুর জেলায় হাইমচরের চরভৈরবী থেকে মতলব উত্তরের ষাটনল পর্যন্ত মেঘনা-পদ্মার ৭০ কিলোমিটার নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা নিষেধ। এ সময়ে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুদ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেই লক্ষ্যে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে অভিযান পরিচালনা করতে বলা হয়েছে। কিন্তু কতোটা জাটকা রক্ষা কার্যক্রম সফল হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়