প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৫৮
চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ অগ্রযাত্রায় করণীয় বিষয়ে মতিবিনিময় সভা
চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চাঁবিপ্রবি)-এর বর্তমান সমস্যাসমূহ অবহিতকরণ এবং ভবিষ্যৎ অগ্রযাত্রায় করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর ২০২৪) দুপুরে চাঁদপুর শহরের মঠখোলাস্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসের সভাকক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়। সভায় অংশগ্রহণ করেন জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে কর্মরত বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিকরা।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. পেয়ার আহম্মেদ। তিনি বলেন, আমি নিজে স্বচ্ছ থাকলে বিগত দিনের মতো কোনো সমস্যা তৈরি হবে না। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি, বিগত দিনের মতো কোনো ধরনের সমস্যা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরি হবে না। সকলের ঐকমত্যে এবং পরামর্শে বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণ ও অবকাঠামগত উন্নয়ন হবে। ধারাবাহিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনবল নিয়োগ ও একাডেমিক অন্যান্য সমস্যা সমাধান হবে।
তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতির ক্ষেত্রে বিগত দিনে গণমাধ্যমের ভূমিকা ছিলো এবং আগামীতেও থাকবে আশা রাখি। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও গণমাধ্যমসহ আমরা আগামীতে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। ইতোমধ্যে থমকে থাকা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাথে কথা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত ও সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মো. শওকত আলী।
সভার সঞ্চালনায় ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি বিভাগের প্রভাষক সুস্মিতা কর। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাসমূহ তুলে ধরে বক্তব্য দেন ব্যবসা শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক মো. বায়েজিদ আআহমেদ রনি।
সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গিয়াস উদ্দিন মিলন, অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন লিটন, আলম পলাশ, রিয়াদ ফেরদৌস, কাদের পলাশ প্রমুখ।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্যে ভূমি অধিগ্রহণ এবং বিগত দিনে ভূমি অধিগ্রহণে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সরাসরি হস্তক্ষেপ ও জটিলতার বিষয় আলোচনায় উঠে আসে। বালুখেকো সেলিম চেয়ারম্যানসহ একটি রাজনৈতিক গোষ্ঠী সরকারের কোটি কোটি টাকা লোপাট করার জন্যে এই বিশ্ববিদ্যালয় দেশজুড়ে আলোচিত ও সমালোচিত হয়। যার কারণে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করে দেয়ার লক্ষ্যে দ্রুত সময়ের মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণের জন্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পরামর্শ দেন সাংবাদিকরা।