প্রকাশ : ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২১:১৯
তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল
স্কুলের মালামাল বিক্রিতে নিয়ম অনুসরণ করেননি ফরিদগঞ্জের সেই সহকারী প্রধান শিক্ষিকা
টেন্ডার ছাড়াই ফরিদগঞ্জ এআর পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মালামাল বিক্রির ঘটনায় তদন্ত শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়ার কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেছে তদন্ত কমিটি।
২৪ নভেম্বর (রোববার) এ তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করা হয়। মালামাল বিক্রিতে নিয়ম অনুরসণ করা হয়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর থেকে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন প্রধান শিক্ষক রফিকুল আমিন কাজল। তাঁর অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে কাউকে দায়িত্ব দেয়া না হলেও সহকারী প্রধান শিক্ষিকা হাসিনা আক্তার সর্বময় কর্তৃত্ব খাটাতে শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২৫ অক্টোবর তিনি টেন্ডার ছাড়াই চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের বিপুল পরিমাণ মালামাল ভাঙ্গারি (পরিত্যাক্ত) হিসেবে বিক্রি করে দেন। ২৭ অক্টোবর বিষয়টি নিয়ে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ৪ নভেম্বর প্রধান শিক্ষক রফিকুল আমিন কাজলের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের অনাস্থার বিষয়ে তদন্তে এসে সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের মালামাল বিক্রির বিষয়টি অবহিত হন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) এরশাদ মাহমুদ। তাৎক্ষণিক তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয় সভাপতি সুলতানা রাজিয়াকে বিষয়টি অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। তাঁর নির্দেশনা অনুসারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী মেহেদি হাসান মামুনকে নিয়ে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন ইউএনও। ২৪ নভেম্বর রোববার তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়টির সভাপতি সুলতানা রাজিয়া বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছি। মালামাল বিক্রিতে নিয়ম অনুসরণ করা হয়নি বলে তাতে উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুসারে বিধি মোতাবেক শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।