নারায়ণপুর পপুলার উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক মাওলানা জিয়াউর রহমান ফরাজীর দাফন সম্পন্ন

মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর পপুলার উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক মাওলানা মোঃ জিয়াউর রহমান চাঁদপুর শহরের প্রফেসর পাড়াস্থ নিজ বাসভবনে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে শুক্রবার ভোর ৬টা ২৫ মিনিটে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল আনুমানিক ৬০ বছর। তিনি স্ত্রী ও ৩ ছেলেসহ আত্মীয়-স্বজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান।

বাদ জুমা চাঁদপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্রীয় মসজিদে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে চাঁদপুর পৌর কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।

নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন মরহুমের ভাগিনা মাওলানা মোঃ এমরান হোসেন।

এর পূর্বে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন মাঝি ও মরহুমের বড়ো ছেলে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজের সহকারী উপাধ্যক্ষ মো. ফয়সাল আহম্মেদ ফরাজী। পরিচালনা করেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মুনির চৌধুরী ও সেলিমুস সালাম।

উপস্থিত ছিলেন নারায়ণপুর পপুলার উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যগণ, প্রধান শিক্ষক এবং শিক্ষক মণ্ডলী, অনন্যা নাট্যগোষ্ঠীর সাবেক সভাপতি শহীদ পাটোয়ারী, বর্ণচোরা নাট্যগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌধুরী, জেলা জাসাসের সভাপতি মঈনুল ইসলাম জীবন, অনন্যা নাট্যগোষ্ঠীর সদস্য সচিব মোঃ আলমগীর হোসেন পাটওয়ারী, চাঁদপুর রোটারী ক্লাবের সভাপতি নজরুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজের শিক্ষক মণ্ডলীসহ মসজিদে উপস্থিত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ।

উল্লেখ্য, মাওলানা মো. জিয়াউর রহমান ফরাজী ১৯৮৭-৮৮ শিক্ষাবর্ষে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সহ-সাহিত্য সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া জেলা ওলামা দলের সাবেক সভাপতি ছিলেন। তিনি ছাত্র জীবন থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিএনপির একজন একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। তিনি পুরাণবাজার ওচমানিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে চাকরি জীবন শুরু করেন। পরে তিনি নারায়ণপুর পপুলার উচ্চ বিদ্যালয়ে চাকুরি শুরু করেন।