প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ২০:০৫
সনাক-টিআইবির কর্মশালায় চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন
স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতি রোধে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের বিকল্প নেই
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেছেন, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতি রোধ করতে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের বিকল্প নেই। আমরা যদি আমাদের দপ্তরে সঠিকভাবে কাজ করি এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই তাহলে দুর্নীতি কমে যাবে। তিনি ২৯ অক্টোবর ২০২৪ মঙ্গলবার সকালে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে করণীয় বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। দুর্নীতিবিরোধী সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি ও সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) চাঁদপুর এ কর্মশালা আয়োজন করে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় ও সনাকের সহ-সভাপতি মোঃ আলমগীর পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত কর্মশালায় চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন সরকারি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রধানগণ অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন ও আলোচনা করেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর সিভিক এনগেজমেন্ট বিভাগের সমন্বয়কারী কাজী শফিকুর রহমান। তিনি তাঁর উপস্থাপনায় শুদ্ধাচার কী, কোন্ কোন্ ক্ষেত্রে শুদ্ধাচার নিশ্চিত করতে হবে, শুদ্ধাচার কেন প্রয়োজন, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের প্রেক্ষাপট, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের মূল উপাদান, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলে অন্তর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ, শুদ্ধাচার বাস্তবায়নের প্রধান টুলস এবং এসডিজির ১৬নং লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এছাড়াও তিনি এসডিজি বাস্তবায়নে সরকার গৃহীত পদক্ষেপ, এসডিজি বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণে করণীয়, এসডিজি অর্জনে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের ভূমিকা এবং এসডিজি অর্জনে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নে করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
কর্মশালায় জেলার ৫৬টি সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আরো বলেন, আমাদের নিজেদের মধ্যে পরিবর্তন আনতে হবে। সেবা প্রদানে সাধারণ মানুষের মধ্যে সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে। আমরা যদি আমাদের দপ্তরে দুর্নীতি কমিয়ে দিতে পারি, তাহলে সুশাসন ও শুদ্ধাচার নিশ্চিত হবে। অনেক সময় দেখা যায় দুর্নীতির সাথে সাধারণ জনগণের একটা ব্যাপক অংশগ্রহণ রয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি আরও বলেন, ৭১’এর পর থেকে প্রতিটা ক্ষেত্রেই উন্নয়ন হয়েছে। রাষ্ট্রের একটা কাঠামো রয়েছে। সেই কাঠামোর মধ্যে আমাদেরকে চলতে হবে। সিভিল সার্ভিসেও অনেক পরিবর্তন হয়েছে। দুর্নীতির মাত্রাও অনেকাংশে কমে গেছে। আমি সনাক-টিআইবি’র পুরো উপস্থাপনা দেখলাম। খুবই সুন্দর একটা উপস্থাপনা। উপস্থাপনায় যেগুলো রয়েছে আমাদেরকে সেগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, অনেক সময় সেবা গ্রহীতাদের সাথে কথা বললে তারাও বলে আমরা সঠিকভাবে সেবা পাচ্ছি না। সাধারণ মানুষ আমাদের কাছে অনেক কিছু প্রত্যাশা করে। আমাদেরকে তাদের সেই প্রত্যাশা পূরণে কাজ করতে হবে।
মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরী, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান, সনাকের সাবেক সভাপতি কাজী শাহাদাত ও অধ্যক্ষ মোঃ মোশারেফ হোসেন। পর্বটি সঞ্চালনা করেন টিআইবি’র চট্টগ্রাম ক্লাস্টারের কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সনাকের সহ-সভাপতি জেসমিন আক্তার (জেসী), সনাক সদস্য মোঃ আব্দুল মালেক, লায়ন মাহমুদ হাসান খান, অ্যাডভোকেট পলাশ মজুমদার ও খোরশেদ আলম কাঞ্চন, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ ও সনাক চাঁদপুরের ইয়েস গ্রুপের সদস্যবৃন্দ।