রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   খাল দখল নিয়ে দ্বন্দ্বে যুবদল নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
  •   নৌ পুলিশের হয়রানি বন্ধে জেলা বিএনপির সভাপতির কাছে জেলেদের লিখিত আবেদন
  •   হাসান আলী মাঠে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের শততম দিনে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা
  •   মাদ্রাসা খাদেমের লাশ নদী থেকে উদ্ধার
  •   পল্লবীতে দুই ছেলেকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে

প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০২৪, ২১:৩১

চাঁদপুরের তিন উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ এখনো পানিবন্দি

চাঁদপুরের তিন উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ এখনো পানিবন্দি
অনলাইন ডেস্ক

চাঁদপুরে বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে তিনটি উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ এখনো পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

এলাকার সূত্র জানা যায়, কুমিল্লা ফেনী ও নোয়াখালী জেলার ভয়াবহ বন্যার পানি ঢুকে এবং টানা বর্ষণে চাঁদপুর জেলার তিনটি উপজেলা- শাহারাস্তি ফরিদগঞ্জ ও হাইমচর উপজেলার অসংখ্য গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে শত শত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভেসে গেছে বহু পুকুর জলাশয় ও ঝিলের চাষকৃত মাছ।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত হাইমচর উপজেলার কমলাপুর,

কচুয়া উপজেলার আশ্রাফপুর ইউনিয়নের ভবানিপুর, সানন্দকড়া, রসুলপুর, পিপলকরা ও শাহারাস্তি উপজেলার রায়শ্রী উত্তর ইউনিয়নের উনকিলা, রায়শ্রী, সন্ডিপাড়া দাদিয়া পাড়া ও দক্ষিণ পাড়ার ঘুরে দেখা যায় সেখানকার অনেক বাড়িঘরে এখনো পানি ।

একই সাথে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ ও ফসলি জমি। বিশেষ করে গবাদি পশু ও হাঁস মুরগি নিয়ে লোকজন খুবই বিপাকে রয়েছেন।

এসব এলাকায় দুর্গত লোকদের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কিছু সহায়তা দিলেও রান্না বান্না করে খাওয়ার মত পরিস্থিতি নেই। শুরুতে পানিবন্দি লোকজন কিছু শুকনো খাবার পেলেও এখন চলছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।

হাইমচর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম শফিক জানান,বিগত কয়েকদিন আগে অবিরাম ভারি বর্ষণে উপজেলার অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়। বৃষ্টি প্রবণতা কমে আসায় বন্যা ও জলাবদ্ধতার পানীয় কমে আসছে। তবে এখনো অনেক গ্রামের বাড়িঘর রাস্তাঘাটে হাঁটু পানিতে নিমজ্জিত।

তিনি বলেন, পানিবন্দী মানুষের জন্য আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ীদের সংগঠন চাঁদপুর চেম্বার এর মাধ্যমে আমাদের এই উপজেলার জন্য আড়াইশ প্যাকেট খাদ্য ত্রাণ সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। কমলাপুর গ্রামের পানিবন্দী মানুষসহ অন্যান্য এলাকায় আমরা ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছি।

শাহরাস্তি উপজেলার রাজশ্রী গ্রামের আনামিয়া বলেন, তার বসতঘরটি গত এক সপ্তাহ পানির নিচে। তিনি স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় নিলেও গবাদি পশু নিয়ে খুব বিপাকে রয়েছেন। এখন পর্যন্ত তাদের এলাকায় কোন ধরনের সহায়তা আসেনি।

একই ইউনিয়নের দাদিয়া পাড়ার বাসিন্দা শাহনাজ ও ফারহানা বলেন, বানের পানির কারণে তাদের রাস্তা তলিয়েগেছে। তারা এখন মূল ইউনিয়নের সাথে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। প্রত্যেকটি ঘরে হাঁটু সমান পানি। খাবার রান্না করার পরিস্থিতি নেই। খুবই অসহায় অবস্থায় আছেল বলে জানান তারা।

স্থানীয় মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা আশিকুর রহমান বলেন, আমাদের এলাকার কিছু লোক সহযোগিতা নিয়ে এসেছে। আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ি অসহায় লোকদের সহযোগিতার চেষ্টা করছি। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি ও বেসরকারিভাবে এসব লোকদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসা উচিত।

শাহারাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)মোঃ ইয়াসির আরাফাত জানান, বানের পানিতে এখন পর্যন্ত পানিবন্দি আছে ৫৫ হাজারের অধিক মানুষ। সাড়ে তিন হাজার লোক আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। তাদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভিন্ন সংগঠনও তাদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে।

কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এহসান মুরাদ জানান, পানিবন্দি এলাকায় ইতিমধ্যে কিছু লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছে। তাদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়