প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯:২৭
চাঁদপুরে চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহারের আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ
স্বাস্থ্য সম্মত জীবনযাপনে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে : শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনিএমপি
চাঁদপুরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ক্যান্সার, কিডনি,লিভার সিরোসিস,স্ট্রোকে প্যারালাইজড,জম্মগত হ্নদরোগ এবং থ্যালাসিমিয়া আক্রান্ত রোগীদের আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ২০২ জন রোগীকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে চিকিৎসায় এককালীন আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ করা হয়েছে।
|আরো খবর
জেলা প্রশাসন ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উদ্যোগে শনিবার বিকালে চাঁদপুর শিল্পকলা একাডেমিতে জন প্রতি রোগীকে চিকিৎসায় ৫০ হাজার টাকা হারে ১ কোটি ১ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ করা হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান শেষে উপকারভোগীদের মাঝে চেক তুলে দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপুমনি।
এ সময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এ দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার ২০১৩-১৪ সালে অসহায় মানুষের চিকিৎসায় আর্থিক সহযোগিতার জন্য এ কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। যারা আবেদন করেছে তাদের যাচাই-বাছাই করে নীতিমালা অনুসরণ করে প্রকৃত অসুস্থ এই অর্থ খুবই প্রয়োজন তাদেরকে অর্থ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা এবং এ কাজে জড়িত,জেলা প্রশাসক,সমাজসেবা কর্মকর্তা ও সিভিল সার্জনের প্রতি ধন্যবাদ জানান। শারীরিকভাবে যারা অসুস্থ তাদের সুস্থতা কামনা করে মন্ত্রী আরো বলেন, এ আর্থিক সহায়তা পুরো চিকিৎসার জন্য তাদের যথেষ্ট নয়, তারপরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহযোগিতা করছেন তাদের পরিবারের জন্য কিছুটা হলে সহযোগিতা হবে। তিনি সকলকে স্বাস্থ্যসম্মত জীবন যাপনে যাতে অসুখ বিসুখ না হয় এ ব্যাপারে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের সভাপতিত্বে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ, চাঁদপুর পৌর সভার মেয়র জিল্লুর রহমান,সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ। স্বাগত বক্তব্যে রাখেন সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রজত শুভ্র সরকার।
এ সময় সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ, সমাজসেবা দপ্তর,প্রশাসনিক কর্মকর্তা,জনপ্রতিনিধি,আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এবং সুবিধাভোগীদের অভিবাবকগণ উপস্থিত ছিলেন। সহায়তা প্রাপ্তদের মধ্যে ১৩৯ জন ক্যান্সারে, ১৬ জন কিডনিতে, ৮ জন লিভার সিরোসিসে, ১৭ জন স্টোকে প্যারালাইজডে, ০৯ জন জন্মগত হৃদরোগী ও ১৩ জন থ্যালাসেমিয়াসহ ২০২ জন রয়েছেন। তারা প্রত্যেকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট এক কোটি ১লাখ টাকার চেক পেয়েছেন।