প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮:৫৬
কচুয়ার রহিমানগর বাজার সমস্যায় জর্জরিত
কচুয়ার ঐতিহ্যবাহী বাজার রহিমানগর ব্যবসায় বাণিজ্যের দিক থেকে খুবই প্রসিদ্ধ। এ বাজারে বিরাজ করছে নানাবিধ সমস্যা। বাজারের ড্রেনগুলো প্রয়োজনের তুলনায় সরু। এগুলো পরিষ্কার করার কয়েক মাস অতিবাহিত হতে না হতেই ময়লা আবর্জনায় ভরাট হয়ে যায়। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশিত হতে না পারায় একটুখানি বৃষ্টি হলেই বাজারের গলিপথ পানিতে ডুবে যায়। সৃষ্টি হয় কর্দমাক্ত অবস্থা।
|আরো খবর
বাজারের পশ্চিম অংশে পশ্চিম বাজারের মসজিদ হতে উত্তর দিকে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র পর্যন্ত প্রায় আড়াইশ মিটার রাস্তা ও আলিফ মেডিক্যাল সেন্টার হতে রহিমানগর হাজী চাঁদ মিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় ২শ মিটার রাস্তা অংশ খুবই বেহালদশা অবস্থায় রয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই উল্লেখিত রাস্তাধরে যানবাহন চলাচলতো দুরের কথা লোকজন পায়ে হেটে যাতায়াত করতে পারছে না।
বাজারের পূর্ব অংশে রহিমানগর কলেজ গেইট হতে বেসিক ডায়াগণস্টিক সেন্টার পর্যন্ত কচুয়া-কালিয়াপাড়া সড়কের প্রায় ৪শ' মিটার অংশে সড়কের উভয়পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকলেও উক্ত অংশে বাজার ব্যবসায়ীরা যথেচ্ছাভাবে ময়লা আবর্জনা ফেলে থাকে। এতে করে সড়কের উভয় অংশে পানি জমে কর্দমাক্ত অবস্থা বিরাজ করছে। এ অংশে জন্ম নিচ্ছে অসংখ্য মশা ও দুর্গন্ধ।
বাজারের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত হয়েছে সাপলোলা খাল। বাজার অংশে ১শ ফুটের ব্যবধানে রয়েছে ওই খালে দু’টি ব্রীজ। বাজার ব্যবসায়ীরা কলার বাকল ও আটি, বয়লার হাঁসমুরগীর বিষ্টা ও চামড়া, পঁচা ফল-ফলাদিসহ বিভিন্ন ধরণের আবর্জনা তাদের খেয়াল খুশিমতো ব্রীজের নিচে ফেলায় খাল ভরাট হয়ে যায়। এতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে এলাকার কয়েকটি মাঠের ফসল বিনষ্ট হয়।
উত্তর বাজারের সিএনজি স্টেশন এলাকাটি চৌরাস্তার মোড় হওয়ার কারণে এ অংশে প্রতিদিনই প্রকট যানজটের সৃষ্টি হয়। যে যানজট রাজধানীর যানজটকেও হার মানায়। এখানে একজন ট্রাফিক নিয়োগের জন্য স্থানীয়রা দীর্ঘদিন দাবী জানিয়ে আসছে, অথচ আজও এ দাবী কার্যকর হয়নি।
বাজারের সমস্যা বিষয়ে বাজার পরিচলনা কমিটির সভাপতি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহরিয়ার শাহীন ও বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুস সালাম সওদাগর জানান, বাজারের বিরাজমান সমস্যা দূরীকরণে শিগগিরই কার্যকর প্রদক্ষেপ নেয়া হবে। তারা আরো জানান, বাজারের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ দেড়কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট উধর্বতন কতৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করেছে, যা এখন অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।