প্রকাশ : ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯:২০
ভুক্তভোগীর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ফরিদগঞ্জে সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করতে মামলা করায় বাদীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার
ডাকাতিয়া নদীর ঘাটলাসহ সরকারি ভুমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করে। পরবর্তীতে সেই ভবনে সরকারি ব্যাংক পুবালী ব্যাংকের শাখা স্থানান্তরের চুক্তিও করে ফেলে। কিন্তু পূর্বের ভবনের মালিকের ছেলে এলাকাবাসীর পক্ষে সরকারি জমি দখল করে ভবন নির্মাণ ও ব্যাংক স্থানান্তরের বিষয়ে আদালতে মামলা করে। আদালত ইতিমধ্যেই ওই জমি উদ্ধারে কর্তৃপক্ষকে নিদের্শনা দিয়েছে। ফলে থেমে যায় ব্যাংক স্থানান্তর প্রক্রিয়া। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওই পাকা ভবনের মালিক ঢাকার ব্যবসায়ী আব্বাস আলী, কৌশলে ঢাকা থেকে প্রকাশিত অপরাধ বিচিত্রা নামে একটি ম্যাগাজিনের সংবাদে মামলার বাদী এমরান হোসেনকে শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হান্নানের সহযোগি, খুনি, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী এবং ধর্ষক বানিয়ে দেয়।
ঘটনাটি ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) বিকালে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে কথিত এই অভিযোগের বিষয় প্রকৃত সত্য ঘটনা তুলে ধরেন ভুক্তভোগী এমরান হোসেন। এসময় ওই পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিটি ঘটনার বিষয়ে যাদের বক্তব্য দেয়া হয়েছে তারা উপস্থিত থেকে ঘটনাগুলো মিথ্যা বলে জানায়।
মরহুম আলী আকবর ভুইয়ার স্ত্রী নাছিমা বেগম জানায়, পত্রিকাটিতে বলা হয়েছে, আমার স্বামীকে গুলি করে খুন করেছে এমরান হোসেন, যা মিথ্যা। প্রকৃত সত্য হলো তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এসময় তার ছেলে ছেলে নাজমুল হাসান ভূঁইয়াও নিশ্চিত করে পিতার স্বাভাবিক মৃত্যুর বিষয়টি।
উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম বলেন, আমি এই পর্যন্ত এমরানের বিরুদ্ধে কোন জিডি বা অভিযোগ করিনি। পত্রিকায় যা এসেছে তা ভিত্তিহীন।
ধর্ষণের ঘটনার বিষয়ে কথিত ভিকটিমের মা হালিমা বেগম ও পিতা খাজে আহমেদ বলেন, এই ধরনের কোন ঘটনাই ঘটেনি। কথিত ঘটনার দিন আমরা বিদেশ থেকে ফিরে বাড়ির আসছিলাম। এই ধরনের ঘটনা ঘটলে আমি অবশ্যই আইনের আশ্রয় নিতাম।
প্রেসক্লাবের সভাপতি মামুনুর রশিদ পাঠানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমরান হোসেন বলেন, আমি আজন্ম আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান ছাত্রলীগ করেছি, উপজেলা যুবলীগের যুগ্মসম্পাদক ছিলাম। ওই পত্রিকায় আমাকে বিএনপি থেকে আগত বলে প্রচার করে। রাজনীতি করার কারণে মামলার স্বীকার হয়েছি, জেল খেটেছি। সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করতে গিয়ে এখন শীর্ষ সন্ত্রাসীর সহযোগি, ধর্ষক এমনকি খুনিও সাজানো হয়েছে। যা একজন বিবেকবান মানুষ হিসেবে আমি প্রত্যাশা করি না।