প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০২৩, ১৯:৪৬
ফরিদগঞ্জের বিষকাটালি ১ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল অবস্থা
ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১২ নং চর-দুঃখিয়া ইউনিয়নের একমাত্র প্রধান সড়ক দক্ষিণ রামপুর বাজার হতে পিরোজপুর বাজার অভিমুখী রাস্তার বিষকাটালি সরদার বাড়ি পোলেরগোড়া হতে মতি বেপারী বাড়ি পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তার বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে । যার কারনে কয়েকটি বাজার, গ্রাম এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী ও পথচারীদের নিত্যদিনের যন্ত্রণা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই রাস্তাটি সংস্কার করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
|আরো খবর
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় বিশাল এই রাস্তাটি অতি জনগুরুত্বপূর্ণ হলেও উল্লেখিত স্থানে মাত্র এক কিলোমিটার রাস্তা নতুন করে নয় একটু সংস্কার করলেই মানুষের দুর্ভোগ দূর হয়ে যায়।
জানা যায়, সাবেক এমপি মরহুম আলমগীর হায়দার খান সাহেব থাকাকালীন সময়ে ২০০২ সালে রাস্তাটি পাকাকরণ করা হয়েছিল। তারপর অদ্যবধি আর সংস্কার না করায় রাস্তাটির উল্লেখিত স্থানে খানাখন্দে মানুষসহ যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তাটি খুব বেশি জনগুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই রাস্তা দিয়ে ইউনিয়নের সকল মানুষ চৌমুনি বাজার ইউপি কার্যালয়ে যেতে হয়। এই রাস্তা দিয়ে চৌমুনি বাজার, খালপাড়ের বাজার, পিরোজপুর বাজার, পিরোজপুর বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১০১ বিষকাটালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুইটা হাফিজিয়া মাদ্রাসা, দুইটা কেজি স্কুল, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রামপুর বাজার হাই স্কুল, (দুইটা) রামপুর ফাজিল মাদ্রাসা, গন্ডামারা উচ্চ বিদ্যালয়, মোয়াজ্জেম কলেজ, গার্লস হাই স্কুলসহ অত্র অঞ্চলের বিষকাটালি গ্রাম, সন্তোষপুর, চর-দু:খিয়া, চর চরনা, লড়াইর চর, গন্ডামারা, চরপোড়া মুখী সহ আরো কয়েকটি গ্রামের মানুষের চলাচলের মাধ্যম এই রাস্তা। এছাড়া এ অঞ্চলের মানুষের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের, কাজের জন্য চাঁদপুর ঢাকা বা দেশের বিভিন্ন স্থানে যেতে হলে এবং বিভিন্ন হাসপাতালে যেতে এই রাস্তাটিই ব্যবহার করা হয়। তাই রাস্তাটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কারণে সংস্কার জরুরি হয়ে পড়েছে।
এলাকার মজিবুর রহমান সেকু মেম্বার, ইউসুফ মিজি সাবেক মেম্বার, মোঃ লিটন, আমির হোসেন মিজী, মোঃ মনির হোসেন পাটোয়ারী, সৈয়দ পাটোয়ারীসহ অনেকে জানান রাস্তাটি এই এলাকার মানুষের জন্য যতটা গুরুত্ব বহন করে সরকারিভাবে ততটা নজর রাখা হয় না। কারণ, রাস্তাটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত সরকারিভাবে কোন সংস্কার না করার কারণে ছোট ছোট কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা ঠিকমতো বিদ্যালয় যেতে পারে না। মানুষ রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে বেঘাত সৃষ্টি হয়। এছাড়া বিশাল এ এলাকার মানুষ বাজার বা শহর থেকে কোন পণ্য বা সরঞ্জামাদি নিয়ে আসলে এই এক কিলোমিটার রাস্তার জন্য ঠিকমতো বাড়িতে নিতে পারে না। রাস্তাটি অতিরিক্ত খানাখন্দের কারণে বিভিন্ন গাড়ি উল্টে যায়। গাড়ি উল্টে গিয়ে বিভিন্ন জনের মালামাল নষ্ট হয়ে যায় বলে তারা জানান।
বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন, স্মার্ট বাংলাদেশ। আর স্মার্ট বাংলাদেশে এই ধরনের রাস্তা থাকা সত্যিই শোভনীয় নয়। আমরাও চাই উল্লেখিত স্থানের এই রাস্তাটুকু জরুরীভাবে সংস্কার করা হোক।