প্রকাশ : ৩১ মে ২০২৩, ২০:১৮
অসম্ভবকে সম্ভব করে প্রসংশায় ভাসছেন হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ
৩টি সিএনজি স্কুটার উদ্ধার : প্রাইভেটকার জব্দসহ চক্রের ৮ সদস্য আটক
একটি অসম্ভবকে সম্ভব জেলা পুলিশ বিভাগে প্রশংসায় ভাসছেন হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জসহ পুলিশের একটি টিম। এ নিয়ে বুধবার (৩১ মে) দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে সংবাদিকদের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ।
সিএনজি চালিত একটি স্কুটার চোরকে সনাক্ত করে তাকে আটকের পর পুরাে টিমকের ৮ সদস্যকে আটকসহ পরপর সিএনজি চালিত ৩টি স্কুটার উদ্ধার, চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার জব্দ করেছে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ। আটককৃতদের সবার বাড়ি সিলেটে। এরা হাজীগঞ্জসহ জেলার বিভিন্নস্থানে এই কর্ম করে বেড়াতো। মালামাল উদ্ধারসহ পরো ৮ চোরকে সিলেটে গিয়ে আটকের মূল নেতৃত্বদেন পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ। যার তদারকি করেন হাজীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঞ্কজ কুমার দে, অফিসার ইনচার্জ জোবাইর সৈয়দ। পুরো প্রকৃয়াটি সম্পন্ন করতে পুৃলিশকে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হয়েছে। আসামীদেরকে আটকে নিরবিচ্ছিন্ন কাজ করেন হাজীগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক মো: মিজবাহুল আলম, সুফল চন্দ্র সিংহ, পলাশ মজুমদারসহ সঙ্গীয় ফোর্স।
আটককৃত আসামীরা হলেন, সিলেট জেলার বালাগঞ্জ থানার মৃত নঈম উল্যাহর ছেলে আনহার আলী (৩৫), মোঘলা বাজার থানার মো. শফিকুর ছেলে বিল্লাল হোসেন কালা বিল্লাল (৩৪), বিশ্বনাথ থানার সোনাপর আলীর ছেলে বিল্লাল হোসেন (২৪), জৈন্তাপুর থানার আব্দুল সালামের ছেলে মো. শিমুল আহম্মেদ (২৪), গোপালগঞ্জ থানার মৃত তোয়াজ উল্লাহর ছেলে আবুল বাছিত (৪০), গোয়াইঘাট থানার মৃত শফিকুর রহমানের ছেলে মো. আলমগীর (২৬), হবিগঞ্জ জেলার সদর থানার মৃত আলা উদ্দিন খাঁনের ছেলে মো. নজরুল খাঁন (২৬), বাহুবল থানার মো. আব্দুল মালেকের ছেলে মো. সোহান মিয়া (২৪)। এর মধ্য সজলু মিয়া ও ঊষার আলী পলাতক রয়েছেন। এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানায় ৩৭৯ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে যার নং ২৯, তারিখ ২৮/৫/২০২৩ ইং। আটককৃত আসামীদেরকে বুধবার আদালতে পাঠানো হলে আদালত সবাইকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিং সূত্রে জানা যায়, আসামী সজলু (পলাতক) উষার আলী (পলাতক) আসামীরা সিএনজি চালিত স্কুটার চুরি করার উদ্দেশ্যে হাজীগঞ্জ বাজারসহ তৎসংলগ্ন এলাকায় এসে সিএনজি চুরির উদ্দেশ্যে অবস্থান করে বিভিন্ন স্থান রেকি করে বেড়াতো। রেকি করা শেষে উষার আলী হাজীগঞ্জ এলাকায় অবস্থান করতে থাকে। এর মধ্যে গত ২৫ মে অপর আসামী সজলু হাজীগঞ্জ হতে সিলেটে চলে যায়। হাজীগঞ্জ থেকে সজলু সিলেটে গিয়ে আসামী আনহার আলীসহ অন্য আসামী নজরুল, সোহানহ সবাই একটি প্রাইভেটকার (জব্দকৃত) নিয়ে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় অবস্থান নেয়। এরই মধ্যে আসামী সজলু অপর আসামী বিল্লালকে খবর দিয়ে সিলেট থেকে নিয়ে আসে। এর পরেই এরা সবাই কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে একত্রে হাজীগঞ্জ বাজারস্থ বিশ্বরোড চৌরাস্তায় চলে আসে। এখানে এসে সজলু প্রাইভেটকার থেকে বাকীরা প্রাইভেটকার থেকে যায়। পূর্ব রেকি মোতাবেক উপজেলার ৬ং বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের রায়চোঁ এলাকায় চলে যায়। এদিকে প্রাইভেটকারে থাকা অপর চার আসামী প্রাইভেটকারটি নিয়ে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে গিয়ে অবস্থান করে।
পরের দিন ২৬ মে তারা হাজীগঞ্জ বাজার এলাকা তিন বার রেকি করে পুলিশের অবস্থান নিশ্চিত করে তারা হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজার মান্নান গ্যাস পাম্পে চলে আসে। এখানে এদিন রাত প্রায় দেড়টার দিকে একটি সিএনজি চালিত স্কুটার চুরি করে আসামী আনহার আলীর কাছে পোঁছে দেয়া হয় যা চালিয়ে সিলেটে নিয়ে যাবার জন্য বলা হয়। এর পরে সিলেটে যাওয়ার পথে সিএনজি চালিত সিএনজি স্কুটারসহ হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে আটক হয় আনহার আলী। মূলত আনহার আলীর দেয়া তথ্য মতে পুরো ঘটনা, অন্য সকল সিএনজি চালিত ষ্কুটার জব্দ ও অন্য আসামীদেরকে সিলেট হতে আটক করতে সমর্থ হয় হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ।
প্রেস ব্রিফিংয়ে চাঁদপুর প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দসহ চাঁদপুর ও হাজীগঞ্জে কর্মরত অন্য সকল গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।