প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৩, ১১:৪৪
পুরাণবাজার মেঘনা নদীতে অষ্টমী স্নান আজ
আজ ২৯ মার্চ বুধবার চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার হরিসভা এলাকার মেঘনা নদীতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী স্নানোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
। হে মহা ভাগ ব্রহ্মপুত্র, হে লৌহিত্য আমার পাপ হরণ কর ; এ মন্ত্র উচ্চারণ করে পাপ মোচনের আশায় পূণ্যার্থীরা আদি ব্রহ্মপুত্র নদে স্নানে অংশ নিচ্ছেন।
স্নানের সময় ফুল, বেলপাতা, ধান, দূর্বা , হরিতকি, ডাব, আম পাতা ইত্যাদি পিতৃকুলের উদ্দেশ্যে নদের জলে তর্পণ করছেন তারা। আজ বুধবার ভোর হতেই স্নানের লগ্ন শুরু হবে। স্নান উৎসব শেষ হবে বিকাল পর্যন্ত। লগ্ন শুরুর পরপরই স্নানার্থীদের ঢল নামবে মেঘনা নদে। পুরাণবাজার হরিসভা স্নানঘাটে দল বেধে, সপরিবারে কেউবা এককভাবে ধর্মীয় রীতি রেওয়াজ অনুযায়ী স্নানে অংশ নিবেন তারা।
এবারও সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে স্নানোৎসব
অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন চাঁদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ।
চাঁদপুর জেলার বিভিন্নস্থান থেকে এবং পাশ্ববর্তী জেলা নোয়াখালী লক্ষ্মীপুর
থেকেও প্রচুর দর্শনার্থী মেঘনা নদের স্নানে অংশ নিবেন বলে স্নান উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে। বিভিন্ন প্রান্ত হতে হাজার হাজার পূণ্যার্থীর আগমনে ঘটবে বলে আশা করছেন তারা।
এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ জানান,
শতাধিক বৎসর যাবত চলমান অষ্টমী স্নান উৎসব প্রতি বৎসরের ন্যায় এবারও পুরানবাজার হরিসভা মন্দির কমপ্লেক্স সংলগ্ন মেঘনা নদীর পাড়ে অনুষ্ঠিত হবে।পূণ্যার্থীদের অষ্টমী স্নান নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, চাঁদপুর জেলা।
প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা বিধানের আশ্বাস প্রদান করেছেন পুলিশ সুপার মহোদয় ,ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।স্নান ঘাটে স্নানের জায়গাটি মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রীর নির্দেশে পানি উন্নয়ন বোর্ড ইতিমধ্যে বালির বস্তা দিয়ে পুণ্যার্থীদের স্নানের উপযোগী করে দিয়েছেন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল আশ্বস্ত করেছেন।
ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে ধর্মীয় উৎসবটি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পূর্ণ করার জন্য তমাল ঘোষ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন ।