প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২১, ২২:২৫
হাজীগঞ্জ কোভিড ১৯ প্রতিরোধী ক্যাম্পেইনের ১ম দিনে ৮,২০৪ জনের টিকা গ্রহণ
কোভিড ১৯ প্রতিরোধী ক্যাম্পেইনের প্রথমদিনে হাজীগঞ্জে ৮২০৪ জনে টিকা গ্রহণ করেছেন। উপজেলার পৌরসভা ও ১২ টি ইউনিয়নের নির্ধারিত টীকা প্রদান কেন্দ্রে এই টিকা জনসাধারনের মাঝে প্রদান করা হয়। কেন্দ্র প্রদানকালে বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শণ করেন সিভিল সার্জন, উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র, ইউএনও, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ওসিসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
|আরো খবর
বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত পৌরসভাসহ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ১০টি ইউনিয়নে মোট ৮ হাজার ২০৪ জন পচিঁশোর্ধ্ব মানুষ টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করে। তাদের সবাইকে সিনোফার্মের টিকার দেওয়া হয়। এই টিকা গ্রহণের ৪ সপ্তাহ (১ মাস) পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে বলে চাঁদপুর কন্ঠকে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতায় এই টিকা প্রদানে ২৪ জন টিকাদানকারী, ৩৬ জন স্বেচ্ছাসেবক ও ১২ জন সুপারভাইজার দায়িত্ব পালন করেন। অপর দিকে ইউনিয়নের ওয়ার্ড প্রতি ২০০ জন করে ৩টি ওয়ার্ডের জন্য মোট ৬০০ জনকে টিকা প্রদানের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে মোট ৬ হাজার টিকার মধ্যে ৫ হাজার ৮৯৮ জন মানুষ টিকা গ্রহণ করেছেন।
উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়ন ও গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে পর্যায়ক্রমে রোববার ও সোমবার ৬শ জন করে দুই ইউনিয়নে মোট ১ হাজার ২শ জনকে টিকা প্রদান করা হবে। এদিকে শনিবার সকালে হাজীগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় গণ-টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন, পৌর মেয়র আ.স.ম মাহবুব-উল আলম লিপন ও ইউনিয়ন পর্যায়ে গণ-টিকার উদ্বোধন করেন, উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী মাইনুদ্দিন।
পৌরসভা ও ইউনিয়নের এই অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন, চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. সাখাওয়াত উল্যাহ্, হাজীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এস.এম সোয়েব আহমেদ চিশতী, হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ। এ ছাড়াও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধি হিসেবে বিভিন্ন ইউনিয়নে গণ-টিকা কার্যক্রমের তদারকি করেন, উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা।
টিকা কার্যক্রমে পৌরসভায় পৌর মেয়রসহ স্ব-স্ব ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে সকল ইউপি চেয়ারম্যান ও স্ব-স্ব ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এস.এম সোয়েব আহমেদ চিশতী বলেন, সবার সার্বিক সহযোগিতায় প্রথম পর্যায়ে গণ-টিকার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। পরবর্র্তীতে টিকা প্রাপ্তি ও সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া হাসপাতালের টিকা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক এবং সবার সার্বিক সহযোগিতায় সু-শৃখঙ্খলভাবে গণ-টিকার ক্যাম্পেইন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। টার্গেট অনুযায়ী যে কজন ( পৌরসভা এলাকায় ৯৪ ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ১০২ জন) বাদ পড়েছেন, তাদেরকে আজ রোববার টিকা দেওয়া হবে।