প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ২৩:৫৭
বিদেশ যাওয়া হলো না শাকিলের
নোয়াখালীতে যুবককে গুলি করে হত্যা, গ্রেপ্তার ৩

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ইয়াছিন আরাফাত ওরফে শাকিল (২৮) নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তিন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারদের মধ্যে দুজনকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে, আরেক জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশ হেফাজতে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
|আরো খবর
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন : উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নের ধীতপুর গ্রামের খোকনের ছেলে মোরশেদ আলম (২৫), একই গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে মো.জীবন (২৪) ও মো. মনির(২২)।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল ২০২৫) দুপুর দেড়টার দিকে বেগমগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাবীবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে, সোমবার (২৮ এপ্রিল ২০২৫) রাত ৮টার দিকে উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের গঙ্গাবর বাজারের ইসলামীয়া মার্কেটর সামনে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত শাকিল একই গ্রামের মো.সোলাইমান খোকনের ছেলে এবং পেশায় একজন থাই অ্যালুমিনিয়াম মিস্ত্রি ছিলেন, পাশাপাশি তিনি একটি চা দোকান করতেন।
স্থানীয়রা জানায়, রাত ৮টার দিকে শাকিলসহ কয়েকজন ছয়ানীর গঙ্গাবর বাজারের ইসলামীয়া মার্কেটের একটি দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। ওই সময় এলাকায় একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা করে পাঁচজন অস্ত্রধারী এসে লাবিব নামে এক তরুণকে জোরপূর্বক তুলে নিতে চেষ্টা করে। তখন শাকিলসহ আরো কয়েকজন তাদের বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা শাকিলকে গুলি করে। এ সময় তার ছোট ভাই শুভ (২৫)কে কুপিয়ে জখম করে। তাৎক্ষণিক এলাকার লোকজন দুই ভাইকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শাকিলকে মৃত ঘোষণা করে। পরে স্থানীয় লোকজন অস্ত্রধারী তিন সন্ত্রাসীকে আটক করে গণধোলাই দেয়।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, কিছু দিন আগে শাকিল সৌদি আরব যাওয়ার জন্যে ঢাকায় ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে আসে। জীবিকার তাগিদে আগামী মাসের ২ মে তার সৌদি আরব যাওয়ার ফ্লাইট ছিল। তার ৭ মাস বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে। এক তরুণ বাঁচাতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে পুরো পরিবারের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। নিহতের স্বজনেরা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্ত্রাসীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.হাবীবুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি বুলেট উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে ঘটনাস্থলের পাশেই থাকা ডোবাতে সেচ মেশিন বসিয়ে পানি শুকিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। তবে সেখানে কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা গণপিটুনির শিকার হওয়ার পুলিশ পাহারায় তাদের চিকৎসা দেওয়া হচ্ছে। লাশ দাফন শেষে এ ঘটনায় নিহতের স্বজনেরা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তাদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে।