প্রকাশ : ১২ এপ্রিল ২০২২, ২০:৫৮
দুই ভাইয়ের বিরোধে পাকা ঘাটলার সামনে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ
দুই ভাইয়ের সম্পত্তিগত বিরোধে এক ভাইয়ের পারিবারিক পাকা ঘাটলার সামনে দিয়ে আরেক ভাই বাঁধ নির্মাণ করে ঘাট ব্যবহার স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ভাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দিয়ে প্রতিকার পাচ্ছে না। তবে বাঁধ নির্মাণকারী বলেছেন, তিনি তার ক্রয়কৃত অংশ দখলে নিয়েছেন মাত্র। ঘটনাটি হাজীগঞ্জের বাকিলা ইউনিয়নের ফুলছোঁয়া বেপারী বাড়ির।
|আরো খবর
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাকিলা ইউনিয়নের ফুলছোঁয়া বেপারী বাড়ির মৃত আঃ রব বেপারীর ৫ ছেলের মধ্যে তাজুল ইসলাম বেপারী ও সিরাজুল ইসলাম বেপারীর মধ্যে সম্পত্তিগত বিরোধ চলছে। সম্প্রতি তাজুল ইসলাম বেপারী পারিবারিক পাকা ঘাটলার সামনে দিয়ে লম্বালম্বিভাবে বেড়িবাঁধের মতো বাঁধ নির্মাণ করে সিরাজুল ইসলাম বেপারী। তাই নয়, বাঁধের উপরে কলাগাছ লাগিয়ে তাতে নেটের বেড়া দিয়ে দেন সিরাজুল ইসলাম। এতে করে তাজুল ইসলাম বেপারীর ঘাটলা ব্যবহার করা বন্ধ হয়ে যায়। গ্রামের একটি কৃষক পরিবারের ব্যবহারের পাকা ঘাটলা এভাবে বন্ধ করে দেয়া দেখে স্থানীয়রা হতবাক হয়ে পড়েন।
এ বিষয়ে যুবলীগ নেতা মাইনুদ্দিন মিয়াজীসহ স্থানীয়রা বলেন, ঘাটলার সামনে এভাবে বাঁধ তৈরি করে নারীদের ঘাট ব্যবহার বন্ধ করার বাস্তব বিষয়টি আমরা সরজমিনে দেখে হতবাক হয়েছি। মানবিকতা বিবেচনায় সিরাজুল ইসলাম এটা করতে পারেন না।
এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত তাজুল ইসলাম বেপারী বলেন, বাবা মায়ের অবর্তমানে বাবার পুকুরের মধ্যে থাকা ৫৪ শতক জমির মধ্যে ৩৬ শতাংশ জমির ভাগ ভাই সিরাজুল ইসলামের। এর মধ্যে ১৮ শতাংশ সম্পত্তি আপস নিস্পত্তির ভিত্তিতে ভোগ দখলে আমাকে দেয়া হয়। যে কারণে আমি আমার বসতঘর লাগোয়া পুকুর পাড়ে পাকা ঘাটলা নির্মাণ করি। রমজান মাসে আমার ঘাটলার সামনে এমনভাবে বাঁধ নির্মাণ করে চিরতরে ঘাটলাকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আমি চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু এখনো কোন প্রতিকার পাইনি।
সিরাজুল ইসলাম বেপারী এ বিষয়ে বলেন, পুকুরের যে অংশে আমি পাড় বেঁধেছি সেটি আমার ক্রয় করা সম্পত্তি। যা পাশের হিন্দুদের থেকে কিনেছি। তাছাড়া এ বিষয়ে আদালতের অনুমতি রয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল বাসার বলেন, তাজুল ইসলামের দেয়া অভিযোগের বিষয়ে তাদের আদালতে অভিযোগ থাকায় সমাধান করা সম্ভব হয়নি।