প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২:৩৪
শাহরাস্তিতে সম্পত্তি দখলের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

শাহরাস্তিতে সম্পত্তি জবরদখলের মিথ্যা, ভিত্তিহীন অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ভুক্তভোগী। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর ২০২৫) সন্ধ্যায় প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে পাথৈর গ্রামের মাও. আলী আকবরের পুত্র কাজী ওবায়েদুল্লাহ এ সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান, মীর মো. নেওয়াজ মোরশেদ ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের কাছে মিথ্যা, বানোয়াট ও মনগড়া তথ্য উপস্থাপন করে বক্তব্য দিয়েছেন। যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর। আমি আইনানুগভাবে রেজিস্ট্রিকৃত দলিলমূলে জমি ক্রয় করে উক্ত সম্পত্তির বৈধ মালিক ও দখলদার। আমার ক্রয়কৃত জমির দলিল নং যথাক্রমে ৩৮৩৪/২০২০ ও ৪১১৬/২০২১, যা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস কর্তৃক বৈধভাবে সম্পাদিত ও অনুমোদিত। এ দলিলের মাধ্যমে আমি নির্দিষ্ট দাগ ও চৌহুদ্দিভুক্ত জমি ক্রয় করেছি এবং সেই অনুযায়ী দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখলে রয়েছি। অভিযোগকারীরা ইচ্ছাকৃতভাবে আমার বৈধ মালিকানাধীন জমিকে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি বলে দাবি করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন। প্রকৃতপক্ষে তারা যে জমির কথা উল্লেখ করেছেন, তার সঠিক দাগ, খতিয়ান ও বাস্তব অবস্থান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধীয় বিষয়ে আদালতের রায় আমার পক্ষে রয়েছে। আমি কোনোভাবেই জোরপূর্বক বা অবৈধভাবে কারো জমি দখল করিনি। বরং অভিযোগকারী পক্ষই বিভিন্ন সময় আমার জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে সাইনবোর্ড স্থাপন, বাধা প্রদান ও উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে, যার ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়।
|আরো খবর
তিনি আরো জানান, প্রিয়েমশন মামলা চলমান থাকা অবস্থায় জমি ক্রয় প্রসঙ্গে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর। কারণ সংশ্লিষ্ট মামলায় কোনো স্থগিতাদেশ বিদ্যমান ছিলো না। বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী, আদালত কর্তৃক স্থগিতাদেশ না থাকলে দলিল সম্পাদন আইনত নিষিদ্ধ নয়—এই বিষয়টি বিজ্ঞ আইনজীবীগণ অবগত আছেন। মূলত এটি কোনো প্রিয়েমশন মামলা ছিলো না, এটি ছিলো হক সুপার মামলা। আমার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাসমূহ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও হয়রানিমূলক, যার যথাযথ জবাব আমি আইনানুগভাবে সংশ্লিষ্ট আদালতে প্রদান করছি এবং আদালত আমার পক্ষে রায় দিয়েছেন। তাছাড়া অভিযোগকারী পক্ষ আমাকে 'ভূমি দস্যু' হিসেবে উপস্থাপন করে যে বক্তব্য দিয়েছে, তা চরম মানহানিকর ও আইনগত অপরাধের শামিল। এই ধরনের মিথ্যা প্রচারণা বন্ধ না হলে আমি আইন অনুযায়ী মানহানি ও ক্ষতিপূরণ মামলা দায়ের করতে বাধ্য হবো।








