প্রকাশ : ১৫ মে ২০২২, ১৯:৪০
সংগ্রামী নারী সম্মাননা পেলেন শারমিন আক্তার জুঁই
হাজীগঞ্জ ই-কর্মাস আয়োজিত উদ্যোক্তা সম্মাননা ও মিলনমেলাতে ১৪ মে শনিবার সারাদেশ থেকে ১০ জন উদ্যোক্তাকে সম্মাননা দেয়া হয়। সে উদ্যোক্তাদের মধ্যেই সংগ্রামী নারীদের পুরস্কারে মনোনীত হন চাঁদপুরের শারমিন আক্তার জুঁই (লবি রহমান কুকিং ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট চাঁদপুর জেলা শাখা, প্রেসিডেন্ট ও ফাউন্ডার আমরা ‘বিজয়ী’ ট্রেনিং অরগানাইজেশন)। ওইদিন হাজীগঞ্জ উপজেলার আনন্দ প্যালেসে সারা দিনব্যাপী জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ সম্মাননা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
|আরো খবর
শারমিন আক্তার জুঁই-এর অবর্তমানে তার সংগঠনের সদস্য নীলা রহমান, আমেনা বারী মৌসুমী, সুরাইয়া সুরু, সোনিয়া রহমান, আজমা আক্তার, বাম্পী রায়, মিতালী মিতি, ফাতেমা নিশি, সুমু আহমেদ, রায়ানা কায়সার, নীরব আহমেদ তার পুরস্কারটি গ্রহণ করেন।
শারমিন আক্তার জুঁই মোবাইল ফোনে জানান, আমি খুবই আনন্দিত সংগ্রামী নারী ক্যাটাগরীতে নির্বাচিত হয়ে। আমি চাঁদপুরের উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ করি, তাদের স্কিল ডেভেলপমেন্ট ও অফলাইন প্ল্যাটফর্মে ব্যবসা প্রতিষ্ঠিত করে দেয়াই আমার লক্ষ্য। আমি চাই আমার জেলার মেয়েরা সকল দিকেই দক্ষ থাকুক। যে সকল কোর্স তারা চাইলেও করতে পারে না, তাদের জন্যে এই কোর্সগুলো অনলাইনের মাধ্যমে চালু করেছি। ইনশাআল্লাহ অফলাইন ট্রেনিংও চালু হতে যাচ্ছে খুব শীঘ্রই।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে এ ট্রেনিং অর্গানাইজেশনটি শুরু করেন নারী উদ্যমী মেলা থেকে। সে মেলায় জ্ুঁই ২টি স্টল কিনেন ১০ জন নারী উদ্যোক্তার অনলাইন বিজনেজকে অফলাইনে সামনে আনার জন্য, যেটি ব্যাপক সাড়া ফেলে।
জুঁইয়ের সংগঠনের কার্যক্রমের সুনামের কারণে অল্প সময়েই দুই হাজার নারী উদ্যোক্তা তার সাথে যুক্ত হন এবং ৩০০ নারীকে তিনি অনলাইন এবং অফলাইনে ট্রেনিং দিতে সক্ষম হন। কালো সোনালী উদীয়মান নারীর প্রতীক এই সংগঠন। সংগঠনের স্লোগান ‘আমরা নারী, আমরা পারি, আমরা বিজয়ী।’ তিনি একাধারে ৮টি অনলাইন স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্স করান অভিজ্ঞ ট্রেইনার দ্বারা। তিনি একাধারে একজন রন্ধনশিল্পী। তিনি প্রথম পিঠা প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে তার কার্যক্রম শুরু করেন। মূলত আমরা ‘বিজয়ী’ একটি ট্রেনিং সংগঠন, এই নামে সারাদেশে আর দ্বিতীয় সংগঠন নেই।