প্রকাশ : ১৭ জুন ২০২২, ০০:০০
২০০৯ সালের ৪ মে। এ দিন থেকে চাঁদপুর কণ্ঠ পরিবারের সাথে পথচলা শুরু। এখনো আছি। শুরু হয়েছিল চীফ রিপোর্টার পদ নিয়ে। বর্তমানে বার্তা সম্পাদক। এই পদে আছি ২০১৩ সাল থেকে। সাংবাদিকতা শুরু ২০০১ সাল থেকে। সে বছরের আগস্টে দৈনিক চাঁদপুর প্রবাহের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে সংবাদপত্রে আমার কাজ করার অধ্যায় শুরু। চাঁদপুর প্রবাহেই পর্যায়ক্রমে সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, চীফ রিপোর্টার এবং সর্বশেষ বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন। একটানা ২০০৯ সালের এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর ৪ মে থেকে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ পত্রিকার সাথে যুক্ত হওয়া। শুরুতে চীফ রিপোর্টার, পরে সহকারী বার্তা সম্পাদক, এরপর বার্তা সম্পাদক।
তের বছর চলছে চাঁদপুর কণ্ঠ পরিবারের সাথে। এই সুদীর্ঘ সময়ে সাংবাদিকতা পেশায় আমার প্রাপ্তি অনেক। ২০১১ সালে টিআইবি থেকে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় অ্যাওয়ার্ড লাভ এই পেশার প্রতি দায়বদ্ধতা আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি উজ্জীবিত হই, সাংবাদিকতা পেশার প্রতি আরো বেশি দায়িত্ববান হই। অনেক বেশি কৃতজ্ঞতা পত্রিকার প্রধান সম্পাদক জনাব কাজী শাহাদাতের প্রতি। তাঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শেখা। এখনো শিখছি।
সাংবাদিকতা পেশা নিয়ে গর্ব করার নানান দিক রয়েছে। এর মধ্যে একটি দিক নিয়ে আমি বেশ গর্ববোধ করি। সেটা হলো-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো। এই পেশায় থেকে মানুষের উপকার করা, বিপদে পাশে দাঁড়ানো এবং অসহায় মানুষের পাশে এগিয়ে আসার সমূহ সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগটা আমি যথাসম্ভব কাজে লাগিয়েছি। এখানে করোনাকালটা বিশেষ করে উল্লেখ করা যেতে পারে। করোনার প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিভীষিকাময় অবস্থায় কি দিন, কি রাত, কি হাসপাতাল, কি রোগীর বাড়ি। সর্বত্র ছুটে গিয়েছি মানবতার সেবায়। এ সুযোগটুকু রাব্বুল আলামিন আমাকে দিয়েছেন সে জন্য তাঁর প্রতি অসংখ্য শুকরিয়া।
সবশেষে এটুকু বলবো- সাংবাদিকতায় আমার বেশুমার প্রাপ্তি এবং মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ হওয়ায় চাঁদপুর কণ্ঠের কাছে আমার অনেক ঋণ। কৃতজ্ঞ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক আলহাজ্ব অ্যাডঃ ইকবাল বিন বাশার এবং প্রধান সম্পাদক জনাব কাজী শাহাদাতের প্রতি।
চাঁদপুর কণ্ঠের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সকলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। মানুষের দোয়া এবং ভালোবাসায় পত্রিকাটি ইনশাআল্লাহ শতায়ু হবে এই প্রত্যাশা রইল।