প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন-২১ ঘোষিত তফসীল অনুযায়ী ২ নভেম্বর ছিলো মতলব দক্ষিণ উপজেলায় মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষদিন। উপজেলার ৫নং উপাদী উত্তর ইউনিয়নে পীর সাহেব চরমোনাই মনোনীত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল জলিল মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের সহিদ চেয়ারম্যানের ছেলে এবং জেলা পরিষদের সদস্য আল-আমিন ফরাজিসহ তাদের দলীয় লোকেরা ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীর মনোনয়নপত্র কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন। উপজেলা নেতৃবৃন্দ এতে প্রতিবাদ জানালে লাঞ্ছনার শিকার হন সংগঠনের দায়িত্বশীলগণ।
বিনা ভোটে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার জন্যে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীগণ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের উপর নানাভাবে প্রভাব বিস্তারে মরিয়া হয়ে হুমকি-ধমকি দিয়ে নানাভাবে হয়রানি করে আসছে। যা তাদের গণতান্ত্রিক বয়ানের সম্পূর্ণ বিপরীত। আওয়ামী লীগ এদেশে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। যা একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের জন্যে চরম হুমকিও বটে। একদিকে রাষ্ট্রের অর্থ খরচ করে নির্বাচন কমিশন চালিয়ে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে রাষ্ট্রের অর্থ নষ্ট করছে, অন্যদিকে বিরোধী প্রার্থীদের দমনে ক্ষমতা খাটিয়ে হুমকি-ধমকি দিবে, যা তাদের স্বৈরতন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরাবরই নিয়মতান্ত্রিক নির্বাচনে অংশ নিয়ে সুষ্ঠু ও স্বাভাবিকভাবে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়ে আসছে। অথচ আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের এ প্রক্রিয়াকে স্বৈরতন্ত্রে রূপ দিতে উঠে পড়ে লেগেছে।
আগামী ২৮ নভেম্বরের নির্বাচনে মতলব উত্তর ও দক্ষিণের একাধিক প্রার্থীকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা সভাপতি শেখ মোঃ জয়নাল আবেদিন ও সেক্রেটারী কে. এম. ইয়াসিন রাশেদসানী এক যৌথ বিবৃতিতে হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থীদের মনোনয়ন জমাদানে বাধা, সংগঠনের উপজেলা জয়েন্ট সেক্রেটারীর উপর হামলা ও হুমকি-ধমকি প্রদানের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের ধৃষ্টতা দমন ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সমান সুযোগ নিশ্চিতে দ্রুতই যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করা জেলা নির্বাচন অফিসারের দায়িত্ব। যদি সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হয় আর জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পায়। তাহলে এই জুলুমের উচিৎ জবাব ব্যালটের মাধ্যমে দিবে। আমরা জনগণের নাগরিক ও মৌলিক অধিকার রক্ষায় এবং সর্বোচ্চ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন আয়োজনের জোর দাবি জানাই।