প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০
চাঁদপুর সদর উপজেলার ৯নং বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হাফিজুর রহমান হাফেজ ঢালী। ৯নং বালিয়া ইউনিয়নবাসীর পাশে থাকতে চান তিনি। এলাকার মানুষের মতে, তিনি সৎ, নিষ্ঠাবান ও সরল মনের মানুষ। ‘এই মুহূর্তে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে কে সেরা’ এমন প্রশ্নের জবাবে সবাই এক বাক্যে হাফেজ ঢালীর নাম উচ্চারণ করেন। তিনি বহু আগে থেকেই এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থেকেছেন। তিনি যেকোন মানুষের বিপদে-আপদে সহযোগিতা করেছেন। বালিয়া ইউনিয়নের এই ব্যক্তি এখন সর্বমহলে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছেন। কারণ এ রকম সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিকে মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নির্বাচন করবে বলে এলাকাবাসীর মুখ থেকে শোনা যায়। তিনি অসহায়, শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষের পাশে থেকে অন্যায় ও অনিয়মের বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রাম করেন। তিনি সকল বাধা পেরিয়ে গণমানুষের কল্যাণে প্রতিনিয়ত স্বপ্ন বুনে যাচ্ছেন। মানুষকে ভালোবেসে মানুষের পাশে থেকে অকৃপণ ভালবাসায় সিক্ত হয়ে আজন্ম বেঁচে থাকতে চান। অসম্ভব ধরনের স্বাধীনচেতা, আপন সিদ্ধান্তে অবিচল, স্পষ্টভাষী রাজনীতিবিদ হাফেজ ঢালী মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে কীভাবে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে কথা বলতে হয় এটা তার রক্তের সাথে সম্পর্কিত এক বৈশিষ্ট্য। কোনো অশুভ শক্তি ও আকর্ষণীয় প্রলোভন বিশেষ করে আর্থিক সুবিধার প্রস্তাব ইত্যাদি দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তাঁকে তাঁর আদর্শ থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি একটি মুহূর্তের জন্যও।
এক প্রতিক্রিয়ায় সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাফেজ ঢালী জানান, আগামী ১১ নভেম্বর বালিয়া ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে আমি হাফেজ ঢালী চেয়ারম্যান পদে একজন পদপ্রার্থী। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে গোটা ইউনিয়নে এখন সাজ সাজ বর বিরাজ করছে। ভোটার ও সাধারণ জনগণ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদানের জন্য। কিন্তু এই ইউনিয়নের রূপকার কে হবেন? কোন্ প্রার্থীকে কিংবা কোন্ মার্কায় ভোট প্রদান করলে ইউনিয়নবাসী উপকৃত হবে -এই প্রশ্নগুলো এখন প্রত্যেকটি ভোটারের মনে মনে। সঠিক ব্যক্তি যাচাই-বাছাই করে মূল্যবান ভোটটি প্রয়োগের দায়িত্ব যেহেতু ভোটারদের, সেহেতু এখন আপনি আপনার সম্মানিত ভোটারদের অগ্নিপরীক্ষার দ্বারপ্রান্তে। আপনার মূল্যবান ভোটটি প্রদান করতে হয়তো খুব বেশি সময় প্রয়োজন হবে না, কিন্তু এর মূল্য দিতে হবে আপনি-আপনাদেরকে আগামী পাঁচ বছর। তাই কাকে মূল্যবান ভোটটি প্রদান করবেন, যিনি কথায় নয় কাজে বিশ^াসী, যিনি নিজেই সৎ উপার্জন করে জীবন ধারণ করেন, যিনি অন্যকে বিপদে ফেলে বা বিপদের সময় অসৎ পথে অর্থ উপার্জন করবেন না। যিনি নির্বাচিত হলে সর্বস্তরের জনগণের জন্য নিদ্রাহীন প্রহরীর মতো নিরলসভাবে কাজ করে যাবেন। যিনি নির্বাচিত হলে সুখী ও সমৃদ্ধশালী ইউনিয়ন উপহার দিতে পারবেন, যিনি নির্বাচিত হলে একটি আধুনিক মডেল ইউনিয়নের সকল ধরনের উন্নয়ন হবে, যিনি নির্বাচিত হলে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের আনাচে-কানাচে বর্তমান সময়ের বেহাল রাস্তাগুলোর উন্নয়ন হবে। আপনারা আমাকে টেলিফোন মার্কায় আপনার মূল্যবান ভোট প্রদান করে আমাকে নির্বাচিত করলে উপরে উল্লেখিত কথায় ও কাজে আমি সচেষ্ট থাকতে আপ্রাণ চেষ্টা করবো এবং অঙ্গীকার করিছি যে, আমাকে আপনার মূল্যবান ভোটটি প্রদান করে নির্বাচিত করলে আমি অত্র ইউনিয়নের বিগত ইউনিয়নবাসীর সেবার অনুন্নত মানকে আরো উন্নতি করবো। আপনাদের আর্সেনিকমুক্ত নলকূপের পানির ব্যবস্থার পাশাপাশি গোটা ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে উপহার দেয়ার জন্য আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই আগামী ১১ নভেম্বর জনগণ সুষ্ঠুভাবে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারলে ইনশাল্লাহ আমার জয় সুনিশ্চিত।