বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০

ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরাম থেকে ৬ সদস্যের পদত্যাগ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥

নানা কারণে ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরাম থেকে একের পর এক সক্রিয় সদস্যরা পদত্যাগ করে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতার স্বেচ্ছাচারিতা ও একনায়কমূলক মনোভাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম হাসানের পদত্যাগের পর সামনে আসে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতার স্বেচ্ছাচারিতামূলক কর্মকা-ের অভিযোগ। ১৯ অক্টোবর সংগঠনের আরো ৩ সদস্যের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে সেই অভিযোগটি আবারো সামনে আসে।

একদিনের মাথায় ২০ অক্টোবর সংগঠনের বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদের ক্রীড়া সম্পাদক খলিলুর রহমান ও সাবেক যুগ্ম ক্রীড়া সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম রাসেল পদত্যাগ করে একই অভিযোগ তুললেন প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে।

বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক খলিলুর রহমান লিখিত পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেন, ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা তার একক আধিপত্য বিস্তারকে সফল করতে প্রতিবার বার্ষিক কাউন্সিলের আগেই তার পূর্বপরিকল্পিত কমিটিকে দায়িত্ব দেয়ার জন্যে অভিনয়ের মাধ্যমে নামমাত্র কাউন্সিল করে থাকেন। যে কমিটি তিনি ঘোষণা করেন, সে কমিটি গঠন করার আগে সংগঠনের সিনিয়র সদস্য হিসেবে কখনোই তার সাথে পরামর্শ কিংবা আলোচনা করা হতো না। এতে করে সংগঠনের মেধাবী ও একনিষ্ঠ কর্মীরা পদবঞ্চিত হচ্ছে।

একই দিনে পদত্যাগ করা সংগঠনের অপর সদস্য সাবেক যুগ্ম ক্রীড়া সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম রাসেল বলেন, সম্প্রতি ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা মৌখিক যে নীতি প্রণয়ন করেছেন তা আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। তিনি বলেছেন, ‘অন্য কোনো সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত থাকলে লেখক ফোরামে থাকা যাবে না’। অথচ প্রতিষ্ঠাতা নিজেই একাধিক সংগঠনের কার্যক্রমের সাথে অতীতে সম্পৃক্ত ছিলেন, বর্তমানেও আছেন। ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরামের মহাপরিচালক থাকাকালীন তিনি নবীন কচি-কাঁচার মেলা সংগঠনের নির্বাহী পর্ষদে থেকে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাতে কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু আমরা নি¤œ পদধারী সাধারণ সদস্যগণ অন্য সংগঠনে থাকলেই যতো সমস্যা। প্রতিষ্ঠাতার এমন স্ববিরোধী দ্বৈত নীতির প্রতি নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আমি সংগঠনের সদস্যপদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছি। কারণ, আমি বিশ্বাস করি, সৃজনশীল মানুষ তার মেধা বিকাশের জন্যে স্বাধীনতার স্বপক্ষীয় যে কোনো সংগঠনেই কাজ করতে পারে।

২০ অক্টোবর পদত্যাগ করা সদস্য জাহিদুল ইসলাম ফাহিম বলেন, ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরামের ফেসবুক ম্যাসেজ গ্রুপটিতে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতার অনুসারী সদস্য ব্যতীত কাউকে সংযোজন করা হয়নি। আমাকেও সেই গ্রুপের বাইরে রাখা হয়েছে। সাম্প্রতি সংগঠনের একাধিক অনুষ্ঠান হলেও আমি অনুষ্ঠান সম্পর্কে অবগত হইনি। যা সংগঠনের একজন সক্রিয়কর্মী হিসেবে আমার জন্যে অত্যন্ত সম্মানহানিকর। সংগঠনে যতদিন ছিলাম নিঃস্বার্থভাবে ভালোলাগা থেকে কাজ করেছি। তাই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে সরে দাঁড়িয়েছি।

একই দিনে পদত্যাগ করা ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরামের বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক আহম্মেদ সাকিব জানান, সম্প্রতি সাংগঠনিক নানা কোন্দলের কারণে সন্দেহের বশবর্তী হয়ে আমি বর্তমান কমিটির অর্থ সম্পাদকের দ্বারা হেনস্তার শিকার হই। এ বিষয়ে সাংগঠনিক কোনো হস্তক্ষেপ তো নেয়া হয়ইনি বরং নানা সময়ে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতার অনুসারী কতিপয় সদস্য ভিত্তিহীনভাবে ব্যঙ্গ করে গেছেন। যা সুস্থ ধারার সাংগঠনিক কার্যক্রমের পরিপন্থী। আমি চাই না ব্যক্তি রোষানলের কারণে সমস্যার সৃষ্টি হোক, তাই আমি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়