প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২১, ০০:০০
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন করে ও সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে প্রেসব্রিফিং (সংবাদ সম্মেলন) করেছেন মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
গতকাল ২৮ জুন সোমবার বিকেলে মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই প্রধান।
আব্দুল হাই প্রধান বলেন, গত ২৬ জুন শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় কলাকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান সোবহান সরকার সুভার নেতৃত্বে দশানী ও বাহাদুরপুর থেকে পাঁচ শতাধিক ভাড়া করা সন্ত্রাসী নিয়ে মিছিল সহকারে মোহনপুরে সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বাড়িতে আসার পথে মোহনপুর পর্যটন লিঃ-এর সামনে এসে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন পথচারী আহত হন। তাৎক্ষণিক মতলব উত্তর থানার ওসি মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল পুলিশ ফোর্স নিয়ে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং ধাওয়া দিয়ে তাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দেন। এমতাবস্থায় পুরো মোহনপুরবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা জানেন, গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার পুত্র দিপু চৌধুরী ও তার সঙ্গী-সাথীরা মোহনপুর লঞ্চঘাটের সাথে মোহনপুর পর্যটন মার্কেটে অতর্কিত গুলিবর্ষণ করে। মতলব উত্তর থানা পুলিশ এসে গুলির খোসা উদ্ধার করে এবং জব্দ করে। পরে মোহনপুর পর্যটনের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। তিনি বলেন, গত আড়াই বছর যাবৎ মায়া চৌধুরী যখনই মোহনপুরের মাটিতে এসেছেন তখনই তার সন্ত্রাসী বাহিনী এসে মোহনপুরের শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষের উপর আক্রমণ চালায় এবং নিজ উদ্যোগে গড়ে ওঠা মোহনপুর পর্যটন লিমিটেডে হামলা চালায় তাদের দখলে নেয়ার জন্যে।
আব্দুল হাই আরও বলেন, প্রায় ৩৩ বছর বছর পূর্বে নাসিরাকান্দি ইউনিয়ন নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার পরে মায়া চৌধুরীরা নদীর পূর্ব পাড়ে মোহনপুর ইউনিয়নে এসে আশ্রয় গ্রহণ করেন। তখন থেকে অদ্যাবধি তারা মোহনপুরের শান্তিপ্রিয় জনগণকে ভয়-ভীতি ও মারধর করে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। তাদের অত্যাচার জুলুমের মাত্রা এতো বেশি যে মোহনপুরের মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। গত ৩০ বছরের মধ্যে মায়া চৌধুরী দুইবার এমপি মন্ত্রী হয়েছেন। কিন্তু মোহনপুর এলাকার কোনো উন্নয়নমূলক কাজ তিনি করেননি। তবে একটি কলেজ করেছেন যা সরকারি জায়গায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে। কলেজটির নাম আলী আহম্মদ মিয়া বহুমুখী মহাবিদ্যালয়।
আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হাই বলেন, আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, মোহনপুরের কিছু দেশ প্রেমিক জনগণ নিজেদের উদ্যোগে আন্তর্জাতিকমানের একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলেছেন। ইতিমধ্যে দেশ বিদেশ এটির সুপরিচিতি হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে মায়া চৌধুরী এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনী ঈর্ষান্বিত হয়ে মোহনপুর পর্যটন লিমিটেডকে ধ্বংস করতে চান। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এ বিষয়ে মানবতার মা, জাতির পিতার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগসহ সর্বস্তরের জনগণের পক্ষ থেকে একটাই আবেদন, এই সন্ত্রাসীদের হাত থেকে মোহনপুরের সর্বস্তরের জনগণকে রক্ষা করার জন্য আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে মতলব উত্তর উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আরো উপস্থিত ছিলেন মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রাধেশ্যাম সাহা চান্দু, উপজেলা যুবলীগের সদস্য কাজী হাবিবুর রহমান, মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুল হক সরকার, ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি এবাদুল হক মৃধা, আওয়ামী লীগ নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা বিল্লাল মৃধা, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বিল্লাল তপাদার, সহ-সভাপতি হুমায়ূন কবির, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন জয়, মোহনপুর ইউনিয়ন মহিলা লীগের সভানেত্রী লাভলী বেগম, সাধারণ সম্পাদিকা মানছুরা হাওলাদারসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।