রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

গণমাধ্যমে হামলা বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেওয়ার সামিল

-----শেখ মুহা. জয়নাল আবদিন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥
গণমাধ্যমে হামলা বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেওয়ার সামিল

ইসলামী আন্দোলন চাঁদপুর জেলা সভাপতি শেখ মুহা. জয়নাল আবদিন এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ প্রতিদিন, কালের কন্ঠ, ডেইলি সান, বাংলানিউজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতি দিয়েছেন। তার বিবৃতি নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো : গণমাধ্যমে হামলা বাক স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়ার সামিল । গণমাধ্যম হলো জাতির বিবেক, রাষ্ট্র ও সমাজের বাস্তব চিত্র ফুটিয়ে তোলার একটি মাধ্যম। যা আবেগ দিয়ে নয় বরং বিবেকের জায়গা থেকে করতে হয়। গণমাধ্যম দলীয় আদর্শ লালন করা ঠিক নয়। কারণ গণমাধ্যম রাষ্ট্রের একটি স্তম্ভের সামিল, যা স্বতন্ত্রভাবে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করতে হয়। ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সহ সকল গণমাধ্যমে আমরা লক্ষ্য করছি, রাজনৈতিক স্রোতের বিপরীতে যাওয়া তাদের জন্যে কেন যেন অসাধ্য হয়ে যায়। রাজনীতির অদৃশ্য কোনো শক্তি তাদের নিয়ন্ত্রণ করে এবং রাজনৈতিক স্বার্থের শিকল তাদের গলায় পরিয়ে দেওয়া হয়, তাই বিবেক বিবর্জিত সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে জাতিকে পথহারা এবং অধিকার থেকে বঞ্চিত করে।

বাংলাদেশে ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট মিডিয়া এবং অনলাইন পোর্টাল সহ সকল পত্রিকার ডিক্লারেশনের ক্ষেত্রে বিগত ক্ষমতাসীনদের সময়ে দলীয় ব্যক্তি ব্যতীত ডিক্লারেশন কোনোক্রমেই দেয়া হয়নি, যা পুলিশ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের দ্বারা বারবার যাচাই বাছাই করে অনুমোদনের জন্য তথ্য নেওয়া হতো তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে। অনেক ক্ষেত্রে মিডিয়ার অবস্থা এই রকম হয় যে, দল ক্ষমতায় থাকলে ওই পত্রিকাটা তাদের প্রচারপত্রে পরিণত হয়, ঠিক মুহূর্তের মধ্যেই আবার দল পরিবর্তন হলে আবার ওই দলের প্রচারপত্রে পরিণত হয়। অর্থাৎ আফটার পাওয়ার নীতি অবলম্বন করে থাকে।

মিডিয়া জগত সকল রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সহ সমাজের সার্বিক চিত্রের ভালো দিক ও খারাপ দিক, ন্যায় অন্যায় সকল দিক ফুটিয়ে তুলবে এটাই স্বাভাবিক। আলহামদুলিল্লাহ কিছু কিছু গণমাধ্যম স্রোতের বিপরীতে গিয়েও বাস্তবতা তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। আমি তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মূল স্লোগান বৈষম্যের বিরুদ্ধে, তাই বৈষম্য সকল স্তর থেকে দূর হোক। বৈষম্যের শিকার যাতে জনগণ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং কারো অধিকারের ও অস্তিত্বের ওপর হস্তক্ষেপ বিশেষ করে মিডিয়ার ওপর হস্তক্ষেপ এটা আমাদের কাম্য নয়।

এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মিডিয়াও সকল বৈষম্যের ঊর্ধ্বে থেকে সকলকে মূল্যায়ন করার বাক স্বাধীনতা ফিরে পাক এটা আমরা চাই । আর যারাই মিডিয়ার ওপর হস্তক্ষেপ করে এ অন্যায় কাজটি করেছে আমরা তাদের তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি করছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়