শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ৩১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
  •   এক বছরের মধ্যে ইসরায়েলের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা
  •   হাজীগঞ্জের সকল মৃত্যুর খবরই গুজব!
  •   দিনমজুরকে জবাই করে হত্যা, ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন
  •   অবশেষে চাঁসক সহকারী অধ্যাপক কামরুল হাছানকে বদলি

প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

মতলব উত্তরে হাজী মঈন উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে অবাধে চলছে কোচিং বাণিজ্য

মতলব উত্তর ব্যুরো ॥
মতলব উত্তরে হাজী মঈন উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে অবাধে চলছে কোচিং বাণিজ্য

মতলব উত্তরে হাজী মঈন উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আইনের তোয়াক্কা না করে অবাধে চালিয়ে যাচ্ছেন কোচিং বাণিজ্য। বিদ্যালয়ের শিক্ষক কাউছার আলম, বিপুল বিশ্বাস ও আব্দুস ছাত্তার দীর্ঘদিন ধরে কোচিং বাণিজ্য করে আসছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় কোচিং বাণিজ্য বন্ধের নির্দেশ থাকলেও তা উপেক্ষা করে অবাধে তাদের কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান অভিভাবকরা। তারা বলেন, কোচিং বাণিজ্য বন্ধের নির্দেশনা থাকলেও প্রশাসনের কোনো ভূমিকা না থাকায় দেদারসে কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক কাউছার আলম, বিপুল বিশ্বাস ও আব্দুস ছাত্তার। এ যেন চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক জানান, শিক্ষর্থীরা গণিত ও ইংরেজি বিষয়ে পড়াশোনায় একটু দুর্বল সেই দুর্বলতার সুযোগে শিক্ষকরা তাদের বেতনের চেয়ে তিনগুণ বেশি অর্থ নিয়ে করছেন কোচিং ব্যবসা। শিক্ষার্থীরা প্রাইভেট টিউশন না করলে বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলে বিপর্যয় ঘটায়। তাই বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীরা কোচিং করছে। সকাল ৬টা থেকে ১০টায় ও বিকাল ৪টা থেকে রাত ৯টায় শেষ হয় কোচিং সেন্টারের ক্লাস।

প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে বিষয় প্রতি গুণতে হচ্ছে মাসিক ৫শ’-১হাজার টাকা। কোনো শিক্ষার্থী আবার ২-৩টি বিষয়ে কোচিং করলে তাতে ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের গুণতে হচ্ছে ১৫শ’ থেকে ৩ হাজার টাকা। এ অনিয়মের কারণে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের অভিভাবক অর্থের জোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। ৩ জুলাই বুধবার সরজমিনে গিয়ে কথা হয় হাজী মঈন উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের সাথে।

শিক্ষার্থীরা জানায়, শিক্ষকরা তাদের নিজ নিজ ক্লাসের শিক্ষকদের কাছে টিউশন নিতে চাপ প্রয়োগ করছেন। শিক্ষক কাউছার আলম, বিপুল বিশ্বাস ও আবদুস সাত্তারের কাছে এ অনিয়মের কথা জানতে চাইলে তারা জানান, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা ভালো শিক্ষা পায় না। ফলে ভালো ফলাফলের জন্য এবং দুর্বল ছাত্রদের জন্য কোচিং করাই।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ জসিম উদ্দিন জানান, আমি বার বার শিক্ষকদের এ বিষয়ে সতর্ক করেছি। তারপরও তারা কীভাবে কোচিং পড়ায় তা আমার জানা নেই।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আশরাফুল আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, কোনোক্রমেই সরকারি নির্দেশনা অমান্য করা যাবে না। কোনো শিক্ষক যদি কোচিং বাণিজ্য করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়