প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভা ও প্রদর্শনী বিতর্ক
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভা ও বিশেষ প্রদর্শনী বিতর্ক ‘আমার ভাষায়, আমিই সেরা’ শীর্ষক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান। মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. লিজা শারমিনের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটির মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের প্রাক্তন ডীন অধ্যাপক এএমএম হামিদুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মিজানুর রহমান, ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব ল্যাঙ্গুয়েজের পরিচালক ব্রি. জে. (অবঃ) কে এম আমিরুল ইসলাম। আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোঃ ফুয়াদ হোসেন সরকার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, বাঙালিরা একমাত্র জাতি যারা নিজের জীবন দিয়ে ভাষার মর্যাদা রক্ষা করেছেন। বাংলা ভাষার জন্যে এই আত্মত্যাগের কারণে আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতি সমৃদ্ধ হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বায়নের যুগে প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বাংলা ভাষা আরও গতিশীল হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. লিজা শারমিন বলেন, ভাষার মাধুর্য আঞ্চলিক রূপের মধ্যেই নিহিত। বাংলা ভাষার মাধুর্যও আমাদের বৈচিত্র্য ও আঞ্চলিকতার মধ্যেই ফুটে উঠে। আমরা মাতৃভাষায় চর্চার মাধ্যমে বাংলা ভাষার বিকৃতি রোধ করবো।
আলোচনা সভার আগে ‘আমার ভাষায়, আমিই সেরা’ শীর্ষক এক প্রদর্শনী বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ ফয়সাল আকবরের সঞ্চালনায় এই বিতর্কে বিভিন্ন অঞ্চলের প্রতিনিধি হিসেবে বিতর্ক করেন তানভীর আলম রিয়ন, সাদিয়া কানিজ নির্জনা, তাসনিয়া বাসিত, মুশফিকুর রহমান অনুরাগ, সাফায়েত হোছাইন নাহিন, রাভিনা আক্তার উর্মি ও মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান। বিতর্কে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাফি আল মাহমুদ, ইইই বিভাগের প্রভাষক নাজমুল হুদা আজাদ ও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রভাষক সোনিয়া আক্তার।