শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৫ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

কচুয়ায় বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব
মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ॥

বিজয়া দশমী পূজার মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার শেষ হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। সকাল ৯টা ৫৭ মিনিট থেকে দশমী বিহিত পূজার লগ্ন শুরু হয়। পূজা শেষে দর্পণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে পূজার ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। এরপর উপজেলার ৪১টি মন্দিরের প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়।

চণ্ডীপাঠ, বোধন এবং দেবীর অধিবাসের মধ্য দিয়ে গত শুক্রবার থেকে শুরু হয় বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। এবার দেবী এসেছেন ঘোটকে চড়ে, গেছেন ঘোটকে চড়েই। এর মধ্য দিয়ে দেবী মর্ত্য ছেড়ে স্বর্গে ফিরেন।

অষ্টমী ও নবমীতে উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন স্থানীয় সাংসদ ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, দ্বাদশ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোয়ন প্রত্যাশী ও রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ গোলাম হোসেন, জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম চৌধুরী, ইউএনও মোঃ নাজমুল হাসান, এসিল্যান্ড মোঃ ইবনে আল জায়েদ হোসেন, কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ইব্রাহীম খলিল, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক মুহাম্মদ শাহজাহান কামালসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

পুরাণ মতে, মহিষাসুরের সঙ্গে ৯ দিন ৯ রাত যুদ্ধের পর দশম দিনে জয়ী হন দেবী দুর্গা। এ জন্যেই বিজয়া। বিজয়া দশমীর কথাটি শুনলেই মন বিষাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু এ কথাটাও ভুললে চলবে না যে, এই দিনে মা বিজয়ী হয়েছিলেন, এই মা সফল হয়েছিলেন। তবুও এই দিনে মা ভক্তদের ছেড়ে চলে যাবেন এ কথা মনে পড়লেই মন অশান্ত হয়ে উঠে। বিজয়া দশমীর তিথিতে মা সকল অশুভ শক্তির বিনাশ করেন এবং সারা বছরের জন্যে ভক্তদের আনন্দে ভরিয়ে রেখে যান। সেই লোকাচার বাংলার ঘরে ঘরে সিঁদুর খেলা হিসেবে পরিণত হয়েছে। সিঁদুর খেলার পাশাপাশি চলে কোলাকুলিও। এ বছর কচুয়া উপজেলায় ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৪১ টি মণ্ডপে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হয়।

কচুয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ফণী ভূষণ মজুমদার তাপু ও সাধারণ সম্পাদক বিকাশ সাহা জানান, এবার কচুয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ৪১টি মণ্ডপে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হয়। সুষ্ঠু, সুশৃঙ্খলভাবে শারদীয় দুর্গোৎসব সম্পন্ন হওয়ায় উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, আনসার বাহিনী, সাংবাদিকবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি তারা কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়